উজানের পানির ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পাঁচটি ওয়ার্ড বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ শতাধিক পরিবার। ডুবে গেছে রাস্তা–ঘাট, ফসলি জমি ও বাড়িঘর। কুয়া ও টিউবওয়েল পানিতে ডুবে যাওয়ার দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। পাঁচটি ওয়ার্ডের মানুষের এখন একমাত্র ভরসা বৃষ্টির পানি।
এদিকে, নতুন করে আবারও পানি উঠতে শুরু করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলার সদর, মুসলিম ব্লক, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করোঙ্গাতলীসহ বেশ কিছু এলাকায়। রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তবে উপজেলা সদরে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কেউ আসেনি বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জানা গেছে, গত দুদিন ধরে উজানের পানি নেমে আসায় উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের আলী নগর, ৫ নং ওয়ার্ডের মাহিল্যা, ৬ নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া, ৮ নং ওয়ার্ডের পাকুয়াখালী ও ৯ নং ওয়ার্ডের কবিরপুর–সহ পাঁচ ওয়ার্ড বন্যায় প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ শতাধিকের ও বেশি পরিবার। দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পান করছেন লোকজন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের টিমের সঙ্গে আমতলীর বন্যার কবলিত পাঁচটি ওয়ার্ড দেখে এসেছি। খুব খারাপ অবস্থা। চারিদিকে পানি। অধিকাংশ ঘর–বাড়ি অর্ধেক করে পানিতে ডুবে আছে। লোকজন খাবার পানির সমস্যায় রয়েছে।
আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, দুই দিন ধরে উজানের পানি নেমে আসায় পাঁচটি ওয়ার্ডে আনুমানিক ৫ শতাধিকের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তা–ঘাট, ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। স্পিডবোট বা ইঞ্জিনচালিত বোট ছাড়া চলাচল করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে বিশুদ্ধ খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কুয়া, টিউবওয়েল সব পানির নিচে। বৃষ্টি আসলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পান করছে লোকজন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীণ আক্তার বলেন, আমতলী, মাহিল্যার দিকে কিছু এলাকা এখনো প্লাবিত রয়েছে। এসিল্যান্ড ও পিআইওকে পাঠানো হয়েছে দেখে আসার জন্য। তারা ফিরে বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় যা যা দরকার সবকিছু দেয়া হবে।