প্রিয় রাসূল (দ.) এর মাধ্যমে নবুয়তের ধারার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরবর্তীতে মানুষকে তৌহিদের দিকে আহবানের জন্য নবীজির উত্তরসূরী হিসেবে বেলায়তের অধিকারী ব্যক্তিত্বরা এ মহান দায়িত্ব পালন করছেন। নবীর নূরের মাধ্যমে ক্বলবকে আলোকিত করে নফ্স দমনের শিক্ষা নিতে হবে। মৌখিক জ্ঞানের পাশাপাশি ক্বলবের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে আলোকিত মানুষ গড়তে মনীষীগণের মধ্যে হযরত গাউছুল আজম আবদুল কাদের জিলানীর (রা.) নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। সুন্নাতে মোস্তফার (দ.) পুনর্জাগরণে অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হযরত গাউছুল আজম (রা.)। গতকাল মঙ্গলবার বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার কমপ্লেক্সে ৬৮তম পবিত্র ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া গাউছুল আজম দরবারের মহান মোর্শেদ আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী(ম.জি.এ) এসব কথা বলেন।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন মাওলানা মো. জসিম, মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর, হাফেজ মাওলানা আরিফ, মাওলানা মো. এরশাদ হোসাইন, মাওলানা ইউছুফ মুনিরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
এ উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাদে জোহর খতমে কোরআন, আলোচনা সভা, বাদে আছর ফয়েজে কোরআন, খতমে ইউনুচ ও দরূদে সাইফুল্লাহ, বাদে মাগরিব মোরাকাবা, নাতে মোস্তফা ও জিকির। বাদে এশা ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা, মিলাদ, কিয়াম, আখেরি মোনাজাত এবং তবারুক বিতরণ ।
শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি, নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন। প্রেস বিঞ্জপ্তি।