যান্ত্রিক শাখার এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত দুদকের তিন সদস্যের দলটি গতকাল মঙ্গলবার সকালে চসিকের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আসেন এবং বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মো. আনোয়ারুল হককে টিম লিডার করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- দুদক সমন্বিত বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম ও দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন। গতকাল তিনজনই চসিক কার্যালয়ে আসেন। প্রথমে তারা চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। পরে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া সুদীপ বসাকসহ সিটি কর্পোরেশনের কয়েকজন প্রকৌশলীর দপ্তরে উপস্থিত হয়ে নথিপত্র পর্যালোচনা করেন।
এর আগে চসিক প্রধান নির্বাহীর কাছে দরপত্র ও ক্রয় সংক্রান্ত প্রকল্পের ১৩ ধরনের নথি চেয়ে পত্র দিয়েছিলেন টিম লিডার মো. আনোয়ারুল হক। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তথ্যগুলো সরবরাহের জন্য বলা হয়।
গতকাল চসিক কার্যালয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে টিম লিডার মো. আনোয়ারুল হক ব্যস্ততার অজুহাতে কথা বলেননি। চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, এর আগে দুদক থেকে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। ওই বিষয়ে অনুসন্ধানে তারা আসেন। এছাড়া আমার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের।