সুদানে চলমান সর্বশেষ যুদ্ধবিরতিও ভেঙে পড়েছে। রাজধানী খার্তুমে বাড়ছে লড়াই। রোববার সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সব দিক থেকে নগরীতে হামলা চালাচ্ছে। আধাসামরিক বাহিনীকে নির্মূল করতে ভারি বিমান এবং গোলা হামলা চালানো হচ্ছে। সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি রোববার রাতেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই তা ভেস্তে গেল বলে জানিয়েছে বিবিসি। রাজধানীতে আটকা পড়ে আছে লাখো মানুষ। ফুরিয়ে আসছে খাবার। সুদানে গোলযোগের মধ্যে বিশ্বের দেশগুলো তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। গত ১৫ এপ্রিলে সুদানে সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ এর মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে ৫ শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে হাজারো মানুষ। খবর বিডিনিউজের।
লড়াইয়ে রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতাল ও অন্যান্য পরিষেবা। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক ত্রাণ কাজ সহজ করতে দুপক্ষ ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছিল। সুদানের স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তার আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই সুদানের সেনাবাহিনী এর মেয়াদ বাড়িয়ে আরেক দফায় ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিপক্ষ আরএসএফও যুদ্ধবিরতি নবায়নে রাজি হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনৈতিক চেষ্টার ফলে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়েছিল।
কিন্তু এর মেয়াদ শেষের আগে শনিবার সন্ধ্যাতেই খার্তুমে প্রচণ্ড লড়াই শুরু হলে এ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যায়। সেনাবাহিনী বলেছে, তারা নগরীর কেন্দ্রস্থলের উত্তরে আরএসএফ সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সেনাবাহিনীর ড্রোন একটি তেল শোধনাগারের কাছে আরএসএফ অবস্থানকে নিশানা করেছে। সুদানের চলমান সংকট নিয়ে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করে দিয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদক বলেছেন, সুদানের অবস্থা সিরিয়া এবং লিবিয়ার চেয়েও খারাপ হতে পারে। লড়াই চলতে থাকলে তা বিশ্বের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।