সুখী নীলগঞ্জ সেতুতে ‘সুখ’ উদ্বোধনের অপেক্ষা

রাঙামাটি প্রতিনিধি | শনিবার , ৪ মার্চ, ২০২৩ at ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার সেতু পেয়ে উচ্ছ্বসিত রাঙামাটি শহরের হ্যাচারীসুখীনীলগঞ্জ এলাকার মানুষ। শহরের কালিন্দীপুরহ্যাচারী এলাকার জনগণ বলছেন, এক সময় যেখানে কাপ্তাই হ্রদ পার হতে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হতো এখন মুহূর্তের মধ্যে সেতু পার হয়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে। রাঙামাটি পার্বত্য

 

জেলা পরিষদের অর্থায়নে শহরের হ্যাচারী এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ লাঘবে কাপ্তাই হ্রদের উপর কালিন্দীপুরহ্যাচারীসুখী নীলগঞ্জ সংযোগ সেতু স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এ সংযোগ সেতুটি ওই এলাকার মানুষের গতি সঞ্চার করেছে। রাঙামাটি শহরের হ্যাচারী এবং সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় প্রায়

হাজারো পরিবারের বসবাস। এখানে রয়েছে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, পুলিশ লাইন, মিনি চিড়িয়াখানা এবং মৎস্য হ্যাচারী। এছাড়া এখানে নির্মিত হচ্ছে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ভবন।

পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১৭ সালে কালিন্দিপুরহ্যাচারীসুখী নীলগঞ্জ সংযোগ সেতুর কাজ শুরু করা হয়। ২২০ মিটার দৈর্ঘ্য বা ৭২৮ ফুট এবং ৬.৫০ মিটার প্রস্থের এই সেতু তৈরিতে ব্যয় করা হয়েছে ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। সেতুটি নির্মাণের ফলে শহরের ভেদভেদী

রাঙাপানিআসামবস্তী এলাকার মানুষ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নিচ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে। কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর থেকে শহরে বিভিন্ন দ্বীপ গড়ে উঠেছে। দ্বীপে প্রায় কয়েক হাজার বসতি রয়েছে। মূল শহরের সাথে দ্বীপের বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌকা বা ইঞ্জিন চালিত বোট। যে কারণে দ্বীপ এলাকার

বাসিন্দাদের দাবি মূল শহরের সাথে সহজে সরাসরি সংযোগ স্থাপন। এক সময় নৌকা কিংবা বোট মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হলেও বর্তমানে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা নবনির্মিত সেতুটি ইতিমধ্যে এলাকার মানুষের যোগাযোগ, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেতু পেয়ে অনেক খুশি এলাকাবাসী।

কালিন্দীপুর এলাকার স্থানীয় আসীম বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে হ্যাচারী এলাকার মানুষ নৌকাযোগে মূল শহরে আসে। নৌকা পার হতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অনেক সময় নৌকা পাওয়া যায় না। যে কারণে তাদের চরম বেগ পেতে হয়।

সেতুটি হওয়াতে তাদের কষ্টের দিন শেষ হয়েছে। হ্যাচারী এলাকার সুমন চাকমা বলেন, আগে এই খালটি পার হতে আমাদের অনেক সময় লেগে যেতো। বিশেষ করে রাতের বেলায় নৌকা পেতে খুবই কষ্ট হতো। এই সেতুটি তৈরী করে দেয়ায় আমি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

এ প্রসঙ্গে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, হ্যাচারী এলাকাটি এক সময় বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ছিল। সেতুটি হওয়ার ফলে ঐ এলাকার সাথে সংযোগ স্থাপন হয়েছে। ইতিমধ্যে সেতুটির কাজ শেষ হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। তিনি বলেন, হ্যাচারীসুখীনীলগঞ্জ এলাকা যেতে হলে বিগত সময়ে প্রায় ৩৪ কিমি. সড়ক ঘুরে যেতে হত। এখন ব্রিজটি হওয়াতে এই এলাকার সাথে একটি যোগাযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ির বনে লাল উড়ন্ত কাঠবিড়ালি
পরবর্তী নিবন্ধসরকার এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে : খসরু