সীমিত পরিসরে হেপাটোলজি ইনডোর ওয়ার্ডের যাত্রা শুরু

চমেক হাসপাতাল

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৮ অক্টোবর, ২০২৫ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এনসিলিয়ারি ভবনে যাত্রা শুরু করেছে নতুন হেপাটোলজি ইনডোর ওয়ার্ড। ১২ বছর পর সীমিত পরিসরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যাত্রা করা এই ওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ক্যানসারের পর মনে হয় মানুষ সবচেয়ে বেশি ভয় পায় লিভারের কোনো রোগ হলে। সময়ের সাথে আমাদের লিভারের রোগও বেড়েছে। চমেক হাসপাতালে সময়ের পরিক্রমায় আজকে লিভার রোগ বিভাগ এখন ইনডোর ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে এখন স্থানের অভাবে ছোট পরিসরে কার্যক্রম করছে তারা। তাই আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই চট্টগ্রাম মেডিকেলে পড়াশোনা করেছি। আমার বেড়ে ওঠা এবং রাজনীতি সব এই ক্যাম্পাস থেকে। তাই মেডিকেল কলেজের প্রতি আমি টান অনুভব করি। আমি এই মেডিকেলের উন্নতি ও অগ্রগতিতে সুযোগ পেলে আমি কাজে লাগাতে চাই। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন বলেন, হেপাটোলজি বিভাগ নিয়ে আমার নিজেরই এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। একসময় আমার হেপাটোলজিস্ট হওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় হেপাটোলজিতে ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা থেকে সরে আসি। নতুন ওয়ার্ড চালু হওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমি চাই এই ওয়ার্ড আরো সমৃদ্ধ হোক।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, আমাদের হাসপাতালে রোগীর তুলনায় জায়গার সংকট রয়েছে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও হেপাটোলজি ওয়ার্ডের জন্য বড় পরিসরে স্থান দিতে পারিনি। তবে ভবিষ্যতে আশা করি সেই সমস্যার সুরাহা হবে।

চমেক হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আমরা আপাতত পাঁচটি বেড নিয়ে সীমিত পরিসরে ওয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু করছি। তবে এই ওয়ার্ডে কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দরকার। একই সাথে ওয়ার্ড যাতে আরো বড় করা যায়, সেদিকে একটু দৃষ্টি দেয়ার অনুরোধ করছি।

হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুল মুমিনের সঞ্চালনায় এবং বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এবিএম আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে চমেক হাসপাতালে হেপাটোলজি বিভাগের কার্যক্রম শুরু হলেও তা এতদিন শুধুমাত্র আউটডোর সেবায় সীমাবদ্ধ ছিল। প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী সেখানে চিকিৎসা নিতেন। এতদিন কিছু রোগীকে অন্য ওয়ার্ডে রেখে সেবা দিলেও ওয়ার্ডটিতে ভর্তি সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ জটিল রোগীকে অন্যত্র রেফার করা হতো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্ধ হল হাসিনার ভোট করার পথ
পরবর্তী নিবন্ধট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে তদন্ত শুরু