বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখার ওপারে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়েছে। গতকাল রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এতে আরো এক রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। নিহত ওমর ফারুক (১৭) তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো লাইনের আশ্রয় ক্যাম্পের মো. আয়ুবের ছেলে। গতকাল সকালে সীমান্তের পূর্বে পাহাড়ি এলাকা থেকে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা তার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তিনি থাকতেন ৩ নং ব্লকে। আর আহত মো. সাহাবুল্লাহ (২৮) থাকতেন ১০ নং ব্লকে।
রোহিঙ্গা নেতা দীল মোহাম্মদের ঘনিষ্ঠ আবদুল কালাম জানান, গতকাল ভোর ৫টার দিকে ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ তুমব্রু বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মধ্যবর্তী শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার পূর্বে, মিয়ানমারের ২ বিজিপির কোনার পাড়া পোস্ট থেকে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এই দুজন রোহিঙ্গা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের একজন মারা যায়।
জানা গেছে, উক্ত দুজন রোহিঙ্গা চোরাই পথে মিয়ানমার থেকে সিগারেট ও কফি আনতে গিয়েছিলেন।
ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মাঝি আবদুর রহিম ও আবদুস সাত্তার জানান, স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুকের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
নিহত ওমর ফারুককে কোনারপাড়া আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের কবরস্থানে সকাল ১১টায় দাফন করা হয় বলে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মাঝি জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর গোয়েন্দা সূত্র থেকে শুনেছি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে মোহাম্মদ ইকবাল (১৮) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হন। ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে চোরাই গরু আনতে গিয়ে তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে হেডম্যান পাড়ার যুবক অন্ন্যাই তংচঙ্গ্যাা (২৮) আহত হয়েছিলেন।