মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত ‘সুরক্ষিত আছে’ দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রতিবেশী দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পালিয়ে আসা সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে সরকার। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে এবং সকালবেলা (মিয়ানমারে) উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের যে রাষ্ট্রদূত আছে, তার সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ, তাদের বিজিপি বা বর্ডার গার্ড পুলিশের যারা এসেছে, তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। খবর বিডিনিউজের।
এখন কোন প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সে নিয়ে আমরা আলাপ–আলোচনার মধ্যে আছি। তাদেরকে কি আকাশপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, নাকি পোর্টের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলাপ–আলোচনার মধ্যে আছি। আমরা একটা
পথ বের করব। এর আগে ভারতে ঢুকে পড়া নাগরিকদের মিয়ানমার আকাশপথে ফিরিয়ে নিয়েছিল বলে জানান হাছান মাহমুদ।
যুদ্ধের প্রভাব ঠেকাতে তৃতীয় কোনো দেশ বা জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলাদেশের সীমান্ত এখনও ‘সুরক্ষিত’ আছে। তিনি বলেন, তারা যেহেতু পালিয়ে এসেছে, তাদেরকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। সীমান্ত আমাদের যথেষ্ট সুরক্ষিত আছে। যেহেতু দুদেশের মধ্যে আলাপ–আলোচনা চলছে, এখনও তৃতীয়পক্ষকে জড়িত করার সেই প্রশ্ন আসেনি।
বিজিপি সদস্যদের ফেরানোর জন্য কোন পক্ষ থেকে যোগাযোগ হচ্ছে এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যোগাযোগ করেছে এবং আমরাও যোগাযোগ করেছি। দুপাশ থেকেই যোগাযোগ হয়েছে। তাদেরকে কবে নাগাদ ফেরত পাঠানো হতে পারে, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এখনও আরও আসছে বা আসার সম্ভাবনা আছে। তো, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। পালিয়ে আসাদের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে হাছান বলেন, আমাদের কাছে নিবন্ধিত ৯৫ জন, হয়ত এর মধ্যে আরও আসছে। আমি তো সকালবেলার খবর বলছি। সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়েছে, এর মধ্যে আরও এসেছে কি–না, আমি জানি না।