সীমানা ছোট হবে না জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই রানের বন্যা বইয়ে যাচ্ছে। ঢাকার পর সিলেটেও চার আর ছক্কার বৃষ্টি হয়েছে। তবে এর পেছনে একটি কারণও ছিল বলে জানা গেছে। আর তা হচ্ছে এই দুই ভেন্যুতে মাঠের সীমানা ছোট করা হয়। তবে চট্টগ্রামে সে সম্ভাবনা নেই। যদিও বিসিবির কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু উইকেট নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এটা নিশ্চিত করেছেন সিলেটের মতো ছোট সীমানার বাড়তি সুবিধাটুকু এখানে ব্যাটসম্যানরা পাবে না বলেই জানা গেছে। বিপিএলের সিলেট পর্বে প্রায় সব ম্যাচেই আলোচনায় ছিল মাঠের সীমানা। এবার সীমানা তুলামূলক ছোট ছিল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামেও। তবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সীমানা ছিল চোখে পড়ার মতো ছোট। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল একাধিকবার সেখানে সীমানা বড় করার সুপারিশ করেন। প্রায় সব ম্যাচেই ৫৮ থেকে ৬০ মিটার সীমানা দেখা গেছে সিলেটে। এমনকি ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে মাত্র ৫২ মিটার ছক্কাও দেখা গেছে ওই মাঠে। অথচ সীমানা দড়ির পর গ্যালারি পর্যন্ত পড়ে ছিল বিস্তর জায়গা। সেই জায়গা ব্যবহার না করায় বেশ সমালোচনা সীমানা নিয়ে।

সিলেটে ছোট সীমানার সুবিধা কাজে লাগায় প্রায় সব দল। বিপিএলের গত আসরে সিলেটে হওয়া ১২ ম্যাচে প্রথম ইনিংসের গড় ছিল ১৫১.২৫ রান। এবার সেটি এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ১৮১.৫৮ রান। প্রথম ইনিংসে দুইশর বেশি রান হয়েছে তিন ম্যাচে। ১৭০ ছাড়ানো স্কোর ছিল ৯টি। ম্যাচে গড়ে ১৭.৫টি করে দেখা গেছে মোট ছক্কা ছিল ২১০টি। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অন্য অনেক সময়ের চেয়ে এবার সীমানা ছিল ছোট। টুর্নামেন্টের প্রথম ৮ ম্যাচে ছক্কা হয় মোট ১৩২টি। প্রথম ইনিংসের গড় সংগ্রহ ছিল এই মাঠের বাস্তবতাঢ প্রায় অবিশ্বাস্য, ১৭৯.৫ রান। চট্টগ্রামে অবশ্য সীমানা ছোট করা ছাড়াই বিপিএলের গত আসরে দেখা গেছে রানের জোয়ার। গত বছরের ১২ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে গড়ে ১৭৭.৯১ রান করেছে দলগুলো। দুইশ ছাড়ানো স্কোর ছিল দুই ম্যাচে। আর ১২ ইনিংসের ৮টিই ছাড়িয়ে যায় ১৬০ রান। এবারও সীমানা ছোট করার কোনো আভাস মেলেনি এই স্টেডিয়ামে। বরিশাল ও ঢাকা ক্যাপিটালস ম্যাচের আগের দিন বিকেল পর্যন্ত আগের মতো স্বাভাবিক দূরত্বেই দেখা গেছে সীমানা দড়ি। জানা গেছে, চট্টগ্রামে উইকেটের সোজা দুই পাশে সীমানা রাখা হবে ৭০ মিটার করে। আর স্কয়ারে এক পাশে থাকবে ৬৭ মিটার ও অন্য পাশে ৬৯ মিটার।

গতকাল বুধবার দলের সঙ্গে অনুশীলনের সময় সেন্টার উইকেটে গেলেও সীমানা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেননি ঢাকার ওপেনার তানজিদ হাসান। তিনি জানান বাউন্ডারি সেভাবে দেখতে পারিনি। সেন্টার উইকেটে আসলে দাঁড়িয়ে বোঝা যায় না ওভাবে। খেললে বলতে পারব। তবে চট্টগ্রামের বাউন্ডারি সব সময় একই থাকে। তানজিদের পর সংবাদ সম্মেলনে বরিশালের প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বলেন স্পোর্টিং হতে পারে চট্টগ্রামের এবারের উইকেট। উইকেট যতটুকু বুঝলাম, দেখতে খুবই ভালো। আমার মনে হয়েছে ব্যাটসম্যানরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে এখানে। বোলাররাও যদি সঠিক লাইনে বল করতে পারে, তারা ভালো ফল পাবে। বাউন্ডারিও শুনেছি সামনে ৭০ মিটার, স্কয়ারে ৬৭ মিটার। আমার মতে, এটা ঠিক আছে। মাঠের উইকেট, সীমানা ছোট করা ছাড়াও আগের ম্যাচগুলোতে রাতের ম্যাচে শিশিরের উপদ্রবও ভুগিয়েছে বোলারদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা
পরবর্তী নিবন্ধবরিশাল দলের বাস অবরোধ করল দর্শকরা