সীতাকুণ্ড সন্দ্বীপ চ্যানেলের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় সাগরে নিখোঁজ হওয়া সিফাতের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট। নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর গতকাল সকাল ১০টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, আমরা প্রথম দিন (শনিবার) ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিফাতকে উদ্ধারে সাগরে অনেক অভিযান চালাই। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় তখন উদ্ধার কার্যক্রম চালানো আর সম্ভব হয়নি। রবিবার সকাল ১০টায় বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে অন্তত সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ গজ দূরে নিখোঁজ সিফাতকে উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হই। পরে নিহতের বাবার কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার জেলার ইনানী বিচ এলাকার মো. আমান উল্লাহর ছেলে সিফাত সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় সাগরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়।
সব আশা ভরসা শেষ : এদিকে গতকাল ছেলের লাশ বুঝে নিতে কঙবাজার থেকে ছুটে আসেন নিহত সিফাতের বাবা মো. আমান উল্লাহ। তিনি জানান, সিফাতরা ৩ ভাই ও ১ বোন। সিফাত সবার বড়। এলাকার ছেলেদের সাথে কাজ করার উদ্দেশ্যে বাঁশবাড়িয়ায় আসে।
ভেজা চোখ মুছতে মুছতে কথা বলছিলেন আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, তার লাশ নিয়ে যেতে এসেছি। তবে তার মাকে কী বলে সান্তনা দিব বুঝতে পারছি না। ছেলের লাশ বহন করা যে কত কষ্টকর তা আর কেউ বুঝবে না। আমার কোন অভিযোগ নেই কারো প্রতি। সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছে। আল্লাহ যা ভাল মনে করেছেন তাই করেছেন। অনেক আশা ছিল ছেলে বড় হয়ে আমাদের পরিবারের সংসারে সবাইকে দেখবে, কিন্তু সে আশা আর পূরন হলো না। অকালে সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। সব আশা ভরসা শেষ হয়ে গেল আমার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কিশোর সিফাত গত ৮ দিন আগে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট এলাকায় এসে সড়ক নির্মাণে দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরিতে কাজ করছিল।