সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর ভিড়। রোগীর অব্যাহত চাপ বৃদ্ধিতে হিমশিম অবস্থায় পড়ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। চিকিৎসকরা জানান, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় ৩ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। সর্বশেষ গত দুইদিনে বহির্বিভাগে ৮৫০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। তবে মৌসুমি জ্বরের ব্যাপারে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা আরো জানান, চিকিৎসা সেবা নেওয়া রোগীর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ রোগীই মৌসুমি জ্বর, কাশি, সর্দি, এলার্জি ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত। আক্রান্ত রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।
দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী জ্বর, কাশি, সর্দি, ডায়রিয়া, এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট সহ মৌসুমি রোগে আক্রান্ত। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুর পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন বয়সের নারী–পুরুষ। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছেন। কেউ কেউ চিকিসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা পারভীন আক্তার, সাইফুল ইসলাম, নুর উদ্দিন, ফাতেমা আক্তার, আয়েশা সিদ্দিকী ও সাহাবউদ্দিন বলেন, তারা দুই–তিন আগে মৌসুমি জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। তাই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে বহির্বিভাগে টিকেট কেটে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রোগীর উপচে পড়া ভিড়ের কারণে ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়ানোর পর চিকিৎসা সেবা নিতে পেরেছেন তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে প্রতিদিন বহির্বিভাগের সামনে ভিড় করছেন শত শত রোগী। প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর এক–তৃতীয়াংশ মৌসুমি জ্বর, সর্দি কাশি, এলার্জি শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত। ঋতু পরিবর্তনের কারণে এসব মৌসুমি জ্বর হচ্ছে বলে জানান তিনি। আর এতে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই।