ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট সংলগ্ন বানুর বাজারে এলপিজি সিলিন্ডার স্ক্র্যাপিং করার অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানায় প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অপরাধে মামলা হয়েছে। গত ১৪ জুলাই পেট্রোম্যাঙ এলপিজির এজিএম আবুল কাশেম মো. তোয়াহা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় মেসার্স তুলাতলী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মো. ইসমাইল হোসেন কুসুমকে (৫০) আসামি করা হয়েছে। কুসুম সীতাকুণ্ডের উত্তর সলিমপুর এলাকার মৃত সফির ছেলে। ঘটনার পর থেকে কুসুম পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, নগরীর সন্নিকটে ফৌজদারহাট সংলগ্ন বানুর বাজার এলাকায় জনৈক মো. মহসিনের মালিকানাধীন ডিপোতে অভিযান চালিয়ে ৬১১টি কাটা সিলিন্ডারসহ ১৫১৮টি সিলিন্ডার জব্দ করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড থানায় করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪-৫ মাস ধরে ওই ডিপোতে বিভিন্ন এলপিজি প্রতিষ্ঠানের খালি সিলিন্ডার এনে স্ক্র্যাপিং করে বিক্রি করে দিচ্ছিল তুলাতলী এন্টারপ্রাইজের মালিক ইসমাইল হোসেন কুসুম।
জানা যায়, কুসুমের সাথে মেসার্স মাম্মী এন্টারপ্রাইজের সাথেও অংশীদারিত্ব চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তি ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন এলপিজি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিভিত্তিক এলপিজি বিপণন করে আসছিলেন। গত কয়েকমাস ধরে দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে লোহার দাম বেড়ে গেলে এলপিজি বিপণন ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন কোম্পানির খালি সিলিন্ডার কেটে স্ক্র্যাপ করে রোলিং মিলগুলোতে বিক্রি করছিল।
মেসার্স মাম্মী এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শামীম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে ইসমাইল হোসেন কুসুমের একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তির শর্ত মোতাবেক শুধুমাত্র এলপিজি বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়, বিপণন ও পরিবহন করার জন্য বৈধ কাজ করা যাবে। এলপিজি সিলিন্ডার কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ একটি কাজ। এসব অবৈধ কাজের সাথে মাম্মী এন্টারপ্রাইজের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। উপরন্তু আমরাও এ ধরণের অবৈধ কাজের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে লাফস এলপিজি’র এরিয়া ম্যানেজার একরামুল হক জুয়েল দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে সীতাকুণ্ডসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এলপিজি সিলিন্ডার সংকট তৈরি হয়। এজন্য আমরা প্রায় প্রত্যেক এলপিজি কোম্পানির প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে নজরদারি করে জেনেছি ইসমাইল হোসেন কুসুম দীর্ঘদিন ধরে তার গোডাউনে বিভিন্ন কোম্পানির খালি সিলিন্ডার স্ক্র্যাপ করে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অথচ একেকটি সিলিন্ডারে কোম্পানিগুলোর দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ভর্তুকি রয়েছে। এসব ভর্তুকির সিলিন্ডার স্ক্র্যাপ করার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে।’ এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ দেশের বড় বড় এলপিজি প্রতিষ্ঠানের সাথে ইসমাইল হোসেন কুসুমের চুক্তি রয়েছে। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর সিলিন্ডার কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছিল।