সীতাকুণ্ডে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের দায়ে মো. ইমাম (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বাড়বকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিসহ থানায় গিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ইমামকে আসামি করে মামলা করে। সে উপজেলার বাড়বকুণ্ড উত্তর দাড়ালিয়া ফকির মিস্ত্রি বাড়ির মো. হারুনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাড়বকুণ্ড উত্তর দাড়ালিয়া এলাকার দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বাবা পাহাড়ে কাজ করেন। দরিদ্র পরিবারে পিতাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য করোনাকালীন স্কুল বন্ধের সময় নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে মুরাদপুর ইউনিয়নের এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড নামে একটি ওষুধ কারখানায় চাকরি করেন।
চাকরিতে যাওয়া–আসার পথে ইমাম হোসেন নামে এক যুবক প্রায় সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলতো। পরে ওই নারী বিষয়টি পিতাকে জানান এবং যুবকের পরিবারকে এসব বিষয়ে অবগত করেন। এরপর ইমাম ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাকরি থেকে ফেরার সময় পথরোধ করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি চিৎকার করলে ধর্ষক পালিয়ে যায়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক জানান, ধর্ষণের অভিযুক্ত আসামিকে বাড়বকুণ্ড একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।