সীতাকুণ্ডে ফৌজদারহাট সাগর পাড়ে অবস্থিত কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে একটানা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেন ও মো. মঈনুল হাসানের নেতৃতে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, কোহিনুর স্টিল ইয়ার্ডে গতকাল সকাল ৯টা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় অফিস ভবনসহ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইয়ার্ডে অভিযানকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। অভিযানের সময় সাংবাদিক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেন জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ফৌজদারহাট তুলাতলী মৌজার বিএস খতিয়ান নং–০১, বিএস দাগ নং–৪৯৪ এর আওতাধীন মোট ১১৩.৬৩ একর জমির মধ্যে অবৈধভাবে তৈরি করা স্থাপনা উচ্ছেদে এ অভিযান চালানো হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে একটি ২ তলা বিল্ডিং, ১ তলা একটি বিল্ডিং, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং কাটা তারের বেড়া অপসারণ করা হয়েছে।
এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফৌজদারহাটের সাগর উপকূলে অবস্থিত তুলাতুলী মৌজার এ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে গত ২০/০৩/২৫ তারিখে ৭ দিনের মধ্যে দখল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অবৈধ দখলদারদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় এর পরেও দখলদার দখল না ছাড়ার কারণে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেন ও মো. মঈনুল হাসান–কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এদিকে অভিযান শেষে উদ্ধারকৃত জমি সরকারের হেফাজতে বুঝিয়ে দেয়া হয়। পুনরায় দখল রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
অন্যদিকে কোহিনুর স্টিলের মালিক শিল্পপতি এম. এ কাসেম (রাজা) এ অভিযানকে অন্যায় দাবি করে বলেন, সলিমপুর মৌজায় অবস্থিত আমার ইয়ার্ড। আমি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সব রকমের অনুমতি নিয়ে ইয়ার্ড করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন তুলাতলী মৌজায় উল্লেখ করে অভিযান চালিয়ে আমার ভবনের ভেতরে থাকা যাবতীয় মূল্যবান সরঞ্জাম ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমার শত কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।