সীতাকুণ্ড পৌরসদরের পন্থিছিলা এলাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে হাবিবুর রহমান জিহাদ (১৫) নামে এক অটোরিকশা চালক গলা কেটে খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। পরে ছিনতাইকারীরা তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বুধবার সকালে ছিনতাই হওয়া সেই রক্তমাখা অটোরিকশাটি বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে দুই ছিনতাইকারী। পরে তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
যেভাবে ঘটল ঘটনা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত হাবিবুর রহমান জিহাদ সন্দ্বীপের মুছাপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলা এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় ৪-৫ জনের একটি ছিনতাইকারী দল তার গাড়ির গতিরোধ করে। চালক জিহাদ বাধা দিলে, ছিনতাইকারীরা তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিক্রির সময় জনতার হাতে আটক
বুধবার সকালের দিকে ছিনতাইকারীরা রক্তমাখা অটোরিকশাটি উপজেলার মাদামবিবিরহাট এলাকায় বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এরপর এলাকাবাসী দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো—সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নের মো. রাজিব (২৪) এবং একই উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাপি (২২)। তারা দুজনও সীতাকুণ্ড পৌরসদরের পন্থিছিলা এলাকায় বসবাস করত।
আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেওয়া অটোরিকশাটি বিক্রি করতে গেলে জনতা দুজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। আমরা খবর পেয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসি।”
তিনি আরও জানান, রিকশাচালকের মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে তদন্ত চলছে।