বৈষম্য দূরীকরণ ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন সীতাকুণ্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–৩ ও চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–১ পটিয়ার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
সীতাকুণ্ড : সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, গতকাল মানববন্ধন কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছেন সীতাকুণ্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–৩ এর ডিজিএম, এজিএম এবং সকল স্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। গতকাল সকাল থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও কর্মবিরতি শুরু হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে বৈষম্য চলে আসছে। কথায় কথায় চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। কোনো বোনাস দেয়া হয় না। এমনকি কর্মঘণ্টারও নিশ্চয়তা নেই। নিম্নমানের বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়ের মাধ্যমে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা, অবকাঠামো নির্মাণ, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত জটিলতা, পলিসি প্রণয়নে অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে গ্রাহকরা সুফল হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎব্যবস্থা সচল রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তারা।
পটিয়া : পটিয়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল কর্মবিরতি পালন করেছেন চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–১ পটিয়ার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি–১র অফিস প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। এর আগে গত মে মাসে একই দাবিতে অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এ সময় টানা কয়েকদিন কর্মবিরতি পালন করার পর তারা কাজে ফিরে গেলেও পুনরায় একই দাবিতে গতকাল থেকে অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নামেন তারা।
এ সময় তারা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে। কর্মসূচিতে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতনের বেড়াজালে আবদ্ধ করে রেখেছে।
এছাড়া অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করার কথা থাকলেও তার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। এসব দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতি ও নানামুখী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তারা।