সীতাকুণ্ড এসএন করপোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে মারাত্মক বিস্ফোরণের নিহতের ঘটনায় এসএন কর্পোরেশন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মোটা জরিমানা ছাড়াও, শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ইয়ার্ডকে তিন মাসের জন্য সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় জরিমানা ছাড়াও নিহতদের প্রতি পরিবারে মোট ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং রুলস, ২০১১ এর ধারা ৪৫.৩ এর অধীনে ৫ লাখ টাকা এবং শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা।
একইসাথে আহত শ্রমিকদের ১২ মাসের বেতনের সাথে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে বহন করতে হবে।
এই জরিমানা এবং নির্দেশাবলী ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের একটি চিঠিতে জারি করা হয়েছিল, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি সঞ্জয় কুমার ঘোষ গঠিত তদন্ত কমিটির তৈরি করা তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এই আদেশ দেন।
এসএন কর্পোরেশনের উপর আরোপিত জরিমানাগুলির মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য ধারা ৪৫.৪ এর অধীনে ১০ লক্ষ টাকা, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য ৪৬.৩ ধারার ১ লক্ষ টাকা এবং অপারেশনাল অসদাচরণ জন্য ৪৬.৯ ধারার অধীনে ১০ লক্ষ টাকা।
উপরন্তু, ধারা ৪৬.১ এর অধীনে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা তিন মাসের জন্য ইয়ার্ড বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা রোধে ২০ দফা সুপারিশ জারি করেছে। সুপারিশগুলির মধ্যে ছিল গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা যেমন গরম এবং ঠান্ডা কাজের একযোগে পরিচালনা নিষিদ্ধ করা, ট্যাঙ্ক, ইঞ্জিন রুম এবং পাম্প রুম কাটার সময় সঠিক বায়ুচলাচল নিশ্চিত করা এবং হট ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করার আগে গ্যাস খালি করা।
চিঠিতে ইয়ার্ডকে প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ কর্মী নিয়োগ, জাহাজ কাটার পরিকল্পনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার এবং জাহাজের উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করার সময় যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।