পথচারী ও নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক সুবিধাসহ আরও একটি ‘পথেরদাবী টয়লেট’ উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম।
গতকাল দুপুরে পতেঙ্গা সী–বিচ এলাকায় ওয়াটারএইড ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) সহযোগিতায় নির্মিত আধুনিক–দৃষ্টিনন্দন স্বাস্থ্য সম্মত এ ‘পথেরদাবী টয়লেট’ এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ওমর আবদুল্লাহ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শাসম, ডিএসকের ওয়াশ ডিরেক্টর এম, এ, হাকিম। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ওয়াটার এইডের প্রকল্প সমন্বয়ক কে এ আমিন পাবলিক টয়লেটের উপর সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ওয়াটারএইড ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) সহযোগিতায় এবং অর্থায়নে আধুনিক সুযোগ–সুবিধাসহ মোট ৭টি পাবলিক টয়লেট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাথে উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন প্রতিবন্ধীবান্ধব এই পাবলিক টয়লেটে রয়েছে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা চেম্বার, হাত–ধোয়ার ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, লকার, মাতৃদুগ্ধ কর্নার, নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরাসহ পেশাদার পরিচ্ছন্নকর্মী ও মহিলা তত্ত্বাবধায়কের ব্যবস্থা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, পতেঙ্গা সী–বিচ এরিয়ায় ৬ কিলোমিটার জুড়ে আমাদের একটি মাস্টার প্ল্যান রয়েছে; যার একটি অংশ হচ্ছে ‘পথেরদাবী’ পতেঙ্গা টয়লেট। পাবলিক টয়লেটের অপর্যাপ্ততা চট্টগ্রাম নগরীতে একটি সমস্যা স্বরূপ। বিদ্যমান পাবলিক টয়লেটগুলোর অনেকগুলোই ব্যবহারের অযোগ্য। এসব পাবলিক টয়লেট ন্যূনতম মানসম্পন্ন স্যানিটেশন সুবিধাবঞ্চিত। এর ফলে উন্মুক্ত স্থানে মল–মূত্রত্যাগের অভ্যাস কমছে না। পাবলিক টয়লেট সংকটে সবচেয়ে বেশি কষ্টকর অভিজ্ঞতার শিকার নারী ও শিশুরা। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ওয়াটারএইড ও ডিএসকে। তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, সর্বপ্রথম পাবলিক টয়লেট ২০১৪ সালে ঢাকায় গাবতলীতে স্থাপন করা হয়; যা এখনো খুব ভাল অবস্থায় আছে। বর্তমানে ৫৪টি পাবলিক টয়লেট সারাদেশে আছে। আমরা পাবলিক টয়লেট শব্দটি আস্তে আস্তে ব্র্যান্ডিং করছি যার নাম হবে ‘পথেরদাবী টয়লেট’।
ডিএসকের ওয়াশ ডিরেক্টর এম এ হাকিম বলেন, চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম আমরা ২০১৮ সালে ওয়াটারএইডের সহায়তায় ২টি পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন করি। আজকেরটি সহ মোট ৮টি পাবলিক টয়লেটের কার্যক্রম চলমান। সকল ধরনের প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমরা কাজ করে যেতে চাই আগামীতেও। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সিনিয়র স্থপতি মো. গোলাম রাব্বানি।