দিনের প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। এতে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। এমন শুরুর পর প্রথম সেশনে আর কোনো উইকেট তুলতে পারেনি টাইগাররা। তবে শেষ বিকেলে দারুণ বোলিং করেছেন স্পিনাররা। হাসান মুরাদ–মেহেদি মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাসান মাহমুদ বলেন, দ্বিতীয় দিনের সকালেই বাকি ২ উইকেট তুলে নিতে চান। ‘আমরা খুবই মানে ভালো একটা পজিশনে আছি এখন। কালকে(আজ) শুধু সকালবেলা তাড়াতাড়ি ওদের উইকেট নিতে হবে। ওদের ব্যাটিং অর্ডার হিসেবে রান খুব বেশি না। আশা করি আমরা এটা চেজ করে আবার ভালো একটা কামব্যাক করব।’ ‘উইকেটটা খুবই ভালো ব্যাটিংয়ের জন্য। আর যদি আমরা বোলিংয়ের কথা বলি, আমরা অনেক ডিসিপ্লিনড বোলিং করেছি। ইকোনমি মানে বোলিং রান রেট এখনও তিনের নিচে আছে। আমার মনে হয় খুব ভালো আজকের দিনটা আমরা শেষ করেছি।’–যোগ করেন তিনি। এমন উইকেটে ৩০০ রান খুব বেশি না বলে মনে করেন হাসান, ‘এই উইকেটে আমাদের ধারাবাহিকতা যেন আরেকটু বেশি থাকে বিশেষ করে ফ্ল্যাট উইকেটগুলোতে। সেই দিকে ফোকাস থাকে যাতে ভালো জায়গায় বল করি সবসময়। দলের জন্য অবদান রাখতে পারি। যাতে যতটুকু ইকোনমিক্যাল বোলিং করা যায়, এটাই আমাদের মেইন ফোকাস থাকে যদি এরকম পিচ থাকে।’ এদিন আইরিশদের অলআউট করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। একাধিক ক্যাচ মিস করে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে পাঁচটি ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এদিন ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ৮ ও ১০ রানে জীবন পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পল স্টার্লিং। ১০ রানে জীবন পেয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল। এছাড়া জীবন পান লরকান টাকার ও জর্ডান নিল। একাধিক ক্যাচ মিস নিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘এটা পার্ট অব দ্য গেম, ক্যাচ ছাড়বেই। বাট আমরা চেষ্টা করি। এটা আসলে পজিটিভ হিসেবে নেই যে সুযোগ আসছে। ফিল্ডাররা আরও রেডি থাকে পরের সুযোগের জন্য। কিন্তু অবশ্যই ভালো লাগে না ক্যাচ মিস হলে। বাট সবাই চেষ্টা করছে।’ ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশ দল অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে বলেও জানালেন হাসান, ‘সবাই যথেষ্ট হার্ড ওয়ার্ক করছে ফিল্ডিং নিয়ে। আমরা প্রতিদিনই ফিল্ডিং সেশন করছি মাঠে এসে। চেষ্টা করছি যাতে আরেকটু উন্নতি করা যায়। কিন্তু খেলার মধ্যে এটা হতে পারে, ক্যাচ মিস হতে পারে, এটা পার্ট। আমরা চেষ্টা করি রিকভার কতটুকু করা যায়। হয়তো আজকে অনেকগুলা মিস হয়েছে। হয়তো নেক্সট টাইম আর হবে না বা আরও কমে যাবে।’ ম্যাচ যতো এগোবে স্পিনাররা আরও সুবিধা পাবেন বলে ধারণা হাসানের, ‘আমি বলব যে স্পিনারদের জন্য ভালো সুযোগ। যতদিন যাবে উইকেটটা আরও একটু ঘুরবে বা আরও একটু টার্ন হবে। তো বোলাররা যদি কনসিস্টেন্ট থাকে তাদের লাইন লেংথে, আমার মনে হয় যে স্পিনাররাই দিন শেষে ম্যাচ জেতাবে আমাদের।’











