কিস্তির বাকি টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে রাঙ্গুনিয়ায় এনজিও কর্মী চম্পা চাকমাকে খুন করেন এনামুল হক (২৭)। গত ৩ এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব–৭ চট্টগ্রামের বিশেষ একটি টিম। এনামুল রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়ার পশ্চিম পাড়া এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে। গতকাল সকালে র্যাব–৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহাবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল র্যাবকে জানিয়েছেন, তার মা ও বোন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘পদক্ষেপ’ থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেয়। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকা বাকি ছিল। টাকাটা তোলার জন্য এনজিও থেকে ৮ জন কর্মকর্তা তার বোনের বাসায় যেতে চেয়েছিলেন। তার ভগ্নিপতি যেহেতু বিদেশে থাকেন তাই তার মানসম্মানের ভয়ে চম্পাকে খুন করেন তিনি।
খুনের বিবরণ দিতে গিয়ে এনামুল জানান, ৫ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে অফিসে কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সহকর্মী সপ্তর্ষী চাকমাসহ বের হয়েছিলেন এনজিও কর্মী চম্পা। সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়েছিলেন এনাম। ঋণের কিস্তি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে এনাম পেছন থেকে চম্পা চাকমার শ্বাসনালীতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।
হত্যার পর পাহাড়ি বনে একদিন আত্মগোপন করেন এনামুল। সেখান থেকে রাঙামাটি, নগরীর পতেঙ্গা, চকবাজার এলাকা, ঢাকার পোস্তাগোলা এবং সবশেষ সিলেটের জৈন্তাপুর চলে যান। সেখানে দৈনিক ২০০ টাকা বেতনে হোটেলে বয়ের কাজ শুরু করেন। জৈন্তাপুর থানার আসামপুর থেকে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, নিহত চম্পা চাকমা পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ শাখায় সহকারী ম্যানেজার (লোন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে চম্পার বোনের স্বামী সোহেল চাকমা বাদী হয়ে এনামুল হককে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর প্রায় এক মাস পালিয়ে থাকার পর গ্রেপ্তার হলেন এনাম।