সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে নববধূ ধর্ষণ মামলার আরেক আসামি তারেক আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ওবাইন রাখাইন।
সিলেট এমসি কলেজে ধর্ষণের অভিযোগে তাদের আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে এ মামলার এজাহারে উল্লেখিত ছয় আসামিকেই গ্রেপ্তার করল র্যাব ও পুলিশ। বিডিনিউজ
র্যাবের সিপিসি-৩ এর লেফটেনেন্ট কমান্ডার ফয়সল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাবের সিপিসি-৩ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
তাকে র্যাবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এ নিয়ে এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে গত সোমবার মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া ও আইনুদ্দিনকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মামলায় গ্রেপ্তার অপর আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম ও তারেক আহমদকে বুধবার আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওসি।
গত রবিবার সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অর্জুন লস্করকে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় রাজন মিয়া ও আইনুদ্দিনকে সোমবার সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এছাড়া সোমবার রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ঐ নববধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলো এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা তিনজনকেও আসামি করেন তিনি।