যে যুগের ভয়াবহতা যত বেশি সে যুগে তত বেশি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন হাদী বা পথ প্রদর্শক মহান আল্লাহপাক অনুগ্রহ করে প্রেরণ করেন। আইয়্যামে জাহেলিয়তের অন্ধকার যুগ প্রিয় রাসূলের (দ.) আগমনে ইতিহাসের সর্বোচ্চ আলোকোজ্জ্বল সময়ে পরিণত হয়েছে। নবীজির পথে মতে ও মুহাব্বতে চলে যে সকল মহামনীষীগণ ইতিহাসের পাতায় চির অম্লান রয়েছেন তাদের মধ্যে খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.) অনন্য ও অপরিসীম মর্যাদায় সমাসীন।
যিনি নব্য জাহেলিয়ত যুগে এসে মানুষকে এমনভাবে আল্লাহ ও রাসূলের (দ.) পথে এনেছেন যা স্মরণকালের মধ্যে অনবদ্য ও অনন্য। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার বিকাশ ঘটিয়েছেন বিস্ময়করভাবে। আধুনিকতার জোয়ারে গা ভাসিয়ে যুব সম্প্রদায় যখন চরম অবক্ষয়ের অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই হযরত গাউছুল আজম (রা.) গাউছিয়তের কন্ঠে ঘোষণা দিলেন– “হে যুুবক! নামাজ পড়ো, রোজা রাখো, নবী করিম (দ.) এর উপর দরূদ পড়ো, মাতৃভূমি শান্ত করো”। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুবকেরা নফসানিয়ত অবদমিত করার তালিম পেয়ে ইনসানিয়ত অর্জনের জন্য এবাদত সাধনায় মগ্ন হয়েছে। তাদের রাতের গভীরে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়, মোরাকাবা, জিকিরে জলি, দৈনিক এগারোশত এগারোবার দরূদ শরীফ আদায়সহ ফরজ এবাদতের পাশাপাশি নফল এবাদতের অনুশীলনে জীবন গঠিত হচ্ছে নিখুঁত নবীপ্রেম ও গভীর তাকওয়ায়। হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর তরিক্বতে শরীয়তকে এমনভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয় যেখানে কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন কার্যক্রম করার বিন্দু পরিমাণ সুযোগ নেই।
গতকাল শুক্রবার বাদে আসর হতে চট্টগ্রাম রাউজান নোয়াপাড়া পথেরহাট চত্বরে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ, দক্ষিণ রাউজান সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন ও খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর স্মরণে আয়োজিত এশায়াত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এসব কথা বলেন।
এ মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।