চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চলমান নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করার অভিযোগ তুলে কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা।
গতকাল সোমবার জিডিটি করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজমল খান। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আওতাধীন ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের জনবল নিয়োগ কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে মৌখিক পরীক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত নিয়োগ কমিটির তত্ত্বাবধানে এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় এই কার্যক্রম সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে। তবে চলমান এই নিয়োগ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে একটি অপরিচিত ই–মেইল থেকে একটি অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগপত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা নিয়োগ কমিটির সঙ্গে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নন। ফলে একটি দুষ্টচক্র পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জিডিতে আরও বলা হয়, গত ২১ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২৭ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের আন্দকিল্লাহ এলাকায় অবস্থানকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত নিয়োগ সংক্রান্ত পোস্টগুলোতে ওই চক্রের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা মন্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। এতে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মান–সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের স্বার্থে সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করা জরুরি বলে জিডিতে উল্লেখ করেন আজমল খান।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিডির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্য সহকারী, অফিস সহকারী–কাম–কম্পিউটার অপারেটর, স্টোর কিপার, অফিস সহায়ক, পরিসংখ্যানবিদ ও গাড়ি চালক এই ছয় পদে মোট আবেদন করেন ১৮ হাজার ৪০৪ জন। তবে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন মাত্র ১২ হাজার ৬৭২ জন। প্রায় ৫ হাজার ৭৩২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি, যা মোট আবেদনকারীর প্রায় এক–তৃতীয়াংশ।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষাকেন্দ্রে ওএমআর শিট পূরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা ছিল বিভ্রান্তিকর ও অসম্পূর্ণ। বিশেষ করে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কোড পূরণ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা শুরুতে স্পষ্ট নির্দেশনা দেননি। অনেক পরীক্ষার্থী দাবি করেন, পরীক্ষার মাঝপথে এসে নির্দেশনা পরিবর্তন বা ব্যাখ্যা দেওয়ায় তারা চরম বিভ্রান্তিতে পড়েন।












