চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষার্থীদের চারটি আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইটি হল আগের এবং দুইটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। নগরের জাকির হোসেন সড়কের পাশে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের ছাত্রহলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান হল’।
জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে সিভাসু প্রতিষ্ঠা হওয়ার সময় আবদুল্লাহ আল নোমান মৎস্য মন্ত্রী ছিলেন। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের নামে হলটি নির্মাণের সময় নামকরণ করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেটির নাম পরিবর্তন করে করা হয় ‘এম এ হান্নান হল’। ছাত্রীহলের নামকরণ করা হয়েছে ‘বিজয় ২০২৪ হল’। এ হলটির নামকরণ করা হয়েছিল শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল নামে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাটহাজারীর রিসার্চ ও ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাসে নতুন দুইটি হল নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ছাত্র হলের নামকরণ করা হয়েছে ‘ডা. নাজির আহমেদ হল’। ১৯৯৬ সালে সিভাসু কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় ডা. নাজির আহমেদ ছিলেন মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সিভাসু কলেজ প্রতিষ্ঠায় তার অবদান রয়েছে বলে জানা গেছে। অপর ছাত্রী হলটির নামকরণ করা হয়েছে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার নামে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সিভাসুর সিন্ডিকেটের ৫৯তম অধিবেশনে হলগুলোর নাম চূড়ান্ত করা হয়। গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভাসুর জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের সিনিয়র উপপরিচালক খলিলুর রহমান।
সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব, সিভাসুর ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিন, প্যাথলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাসুদুজ্জামান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্টেট্রিঙ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবদুল আলীম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সাইন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিভাগের প্রফেসর ড. শাহ মো. আব্দুর রউফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মারুফ হাসান, বাংলাদেশ ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন এবং সিভাসুর রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম।
‘সিভাসু গার্ডেন’ উদ্বোধন : গত শুক্রবার সিভাসুর শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তি ও অবসর কাটানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘সিভাসু গার্ডেন’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, ওয়ান হেল্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক, ইনস্টিটিউট অব ফুড সেফটি অ্যান্ড নিউট্রিশনের পরিচালক ও ছাত্র হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শামছুল মোর্শেদ, পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দিন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর মো. আ. হালিম এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। সিভাসু গার্ডেন তৈরির মূল সংগঠক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম। এসময় উপাচার্য বলেন, সিভাসু গার্ডেন শুধু একটি বিনোদনমূলক স্থান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তি ও সৃজনশীলতা বিকাশের এক অনন্য ক্ষেত্র হবে। সবুজের স্নিগ্ধ পরশ, বৃষ্টির ছোঁয়া আর ছায়াঘেরা পরিবেশ শিক্ষার্থীদের ক্লান্ত মনকে প্রশান্তির ছোঁয়া দেবে।
