সিভাসু’তে সুরিমি পণ্যের প্রদর্শনী

| শুক্রবার , ১৮ জুলাই, ২০২৫ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

মাছের পেস্ট বা কিমা থেকে তৈরি সুরিমি পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রোটিনের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত একটি গবেষণা প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে গবেষকেরা এই তথ্য জানান।

সিভাসু অডিটোরিয়ামে ‘ ডেমোনেস্ট্রেশন ওয়ার্কশপ ও ফুড ফেয়ার’ শীর্ষক উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের অধীনে উৎপাদিত সুরিমিভিত্তিক বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, যেমন, ফিশ বল, ফিশ কেক, ফিশ রোল, ফিশ নাগেট, ফিশ বার্গার এবং ফিশ কাবাব ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই সুরিমিভিত্তিক এই খাদ্যপণ্যসমূহ উপভোগ করেন।

প্রকল্পের ওপর প্রেজেন্টেশন দেন কোষাধ্যক্ষ এবং প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মো. কামাল। প্রেজেন্টেশনে তিনি গবেষণা কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন। এই সময় তিনি বলেন, মাছের মাথা, কাটা ও আবর্জনা বাদ দিয়ে যে অংশ থাকে তা দিয়ে যে পেস্ট বা কিমা তৈরি হয় তাকে সুরিমি বলে।এই সুরিমি দিয়ে সিঙ্গারা, সমুচা, ফিশ বল, ফিশ কেক, ফিশ বার্গার, ফিশ রোল ইত্যাদি নানা মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। জাপান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের মতো দেশে এটি বহুদিন ধরে জনপ্রিয় হলেও, বাংলাদেশে এখনো এটি একটি নতুন ধারণা। তিনি বলেন, মাছের পেস্ট বা কিমা থেকে তৈরি সুরিমি পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রোটিনের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব। এছাড়া, এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

সিভাসুর পরিচালক (গবেষণা ও সমপ্রসারণ) প্রফেসর ড. মো. ইউসুফ এলাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদ, মৎস্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো: আনোয়ার হোসেন এবং মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর, চট্টগ্রামের উপপরিচালক ফিশিং ও পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ফয়সাল। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রকল্পের সহকারী প্রধান গবেষক ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক চয়নিকা পন্ডিত।

প্রধান অতিথি বলেন,‘সিভাসু’তে ফিশারিজ অনুষদের যাত্রার শুরু থেকে আমরা অনবরত দেশের মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে শিক্ষা এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমরা চাই এই দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আমরা চাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এবং মানুষের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে। বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্য অধিদপ্তর এবং ফিশিং ট্রলার মালিকদের সমন্বয়ে একযোগে কাজ করলে এই প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাই শিল্প নগরে বেপজাকে ডায়মন্ড সিমেন্টের চারাগাছ রোপণ ও হস্তান্তর
পরবর্তী নিবন্ধগোপালগঞ্জে নারকীয় তাণ্ডবের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে