চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভা নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। নিয়ম অনুসারে ১৫ দিনের মধ্যে সভার কার্যবিবরণী দেওয়ার কথা থাকলেও ৪৫ দিন পর গত ২৭ আগস্ট কার্যবিবরণী পাঠানো হয় সদস্যদের কাছে। প্রেরিত কার্যবিবরণীতে সিন্ডিকেটে গৃহীত হওয়া কয়েকটি সিদ্ধান্তকে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিকৃত অংশ প্রত্যাহার করার জন্য উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, আমি এর আগেও সিন্ডিকেটের কার্যবিবরণী প্রেরণ করতে দেরি করায় উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে কার্যবিবরণী প্রেরণ করলেও তাতে সিন্ডিকেটে যা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল তা বিকৃত করা হয়েছে। এমনকি সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়নি এমন বিষয়কেও কার্যবিবরণীতে সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা স্পষ্টতই আইনের লঙ্ঘন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫৪৪তম সিন্ডিকেট সভার বিষয় ১৩–এ সিদ্ধান্ত হয়– ‘কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হোক।’ তবে কোনো পদে পূর্ব থেকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বা দৈনিক ভিত্তিতে কর্মচারী নিযুক্ত থাকলে সেক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়মিতকরণের সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে হয়নি। কিন্তু সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণীতে, ‘অস্থায়ী ভিত্তিতে বা দৈনিক ভিত্তিতে কোন কর্মচারী নিযুক্ত থাকলে সেক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বন্ধনীর মধ্যে ‘নিয়মিতকরণ’ শব্দটি উল্লেখ করা হোক অংশটি সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সিদ্ধান্তের প্রথম অংশটি সিন্ডিকেটে গৃহীত হলেও পরবর্তী অংশ গৃহীত হয়নি। তবুও সিদ্ধান্তকে বিকৃত করে কার্যবিবরণীতে তা লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ সিন্ডিকেট সদস্যদের।
এদিকে সিন্ডিকেট সভার বিষয় ১৪–এ ৯টি বিভাগ–ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক নির্বাচনী বোর্ডে সদস্য মনোনয়নের জন্য উল্লিখিত বিভাগ–ইনস্টিটিউটসমূহের পরিকল্পনা কমিটির মাধ্যমে নাম প্রস্তাবের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু তা না করে ৫৪৪তম সিন্ডিকেটের কার্যবিবরণীর বিষয় ১৪ এর সিদ্ধান্তে সিন্ডিকেট কর্তৃক সদস্য মনোনয়নের তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন–১৯৭৩ এর লঙ্ঘন বলে দাবি অধিকাংশ সিন্ডিকেট সদস্যের। এছাড়া বিষয় ৩০–এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালার ব্যাপারে কেবল আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। যদিও তা সিদ্ধান্ত আকারে কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।