চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সিন্ডিকেট সভা হওয়ার আগেই পদোন্নতি সংক্রান্ত বেশকিছু সিদ্ধান্ত ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার সেকশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল আসাদের দিকে। এই ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। জানা যায়, গত শুক্রবার নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউটে সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সিন্ডিকেটের ৫৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় অর্ধশতাধিক অ্যাজেন্ডার ওপর আলোচনা হয়। তবে শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পদোন্নতি সংক্রান্ত বেশকিছু সিদ্ধান্ত আগের দিন মধ্যরাতে ফাঁস হয়ে যায়।
অভিযোগ উঠেছে, রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার সেকশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল আসাদ পদোন্নতি প্রাপ্ত বেশ কয়েকজনকে মধ্যরাতে অভিনন্দন জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন আগের রাতে আসাদের অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। অভিনন্দন বার্তার বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে সেকশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল আসাদকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।