ভবন নির্মাণের প্ল্যান অনুমোদনের জন্য ঘুষ দাবির অভিযোগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ভবনে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। এ সময় সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপ–পরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হাসান মুরাদসহ ৯ জন ব্যক্তি নগরীর বাকলিয়ার সৈয়দশাহ রোড এলাকায় ১৩৭৫. ৫৩ বর্গমিটারের একটি প্লটে দুটি বেইজ ও ১৩ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের জন্য সিডিএ’তে আবেদন করেন। ২০১৩ সালের ২৩ মে তাদেরকে ভূমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর হাসান মুরাদরা নিয়মের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২ এপ্রিল ভবনের প্ল্যান পাশের জন্য নকশা সাবমিট করেন, যা ইমারত নির্মাণ কমিটি–১ এর ১৪৮ তম সভায় অনুমোদিত হয়। কার্যবিবরণী রেজিস্টারেও ইমারত নির্মাণ কমিটির সদস্যরা স্বাক্ষর করেছেন।
সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নথির নোটাংশ ১১ তে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ অনুমতিপত্র জারী করার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। অথচ নোটাংশের ১২ নং প্যারা খালি রেখে ১৩ নং প্যারায় সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সিডিএ’র কর্মকর্তা–কর্মচারীরা আবেদনকারীকে ঘুষ প্রদানে বাধ্য করাসহ অদ্যাবধি ভবন নির্মাণ অনুমতিপত্র ইস্যু করা থেকে বিরত রয়েছেন। দাবিকৃত ঘুষের অতিরিক্ত অংশ আদায় করতে সিডিএ’র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আবেদনকারীকে হয়রানি করছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে বলেও জানান দুদক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, নির্মাণ অনুমোদনপত্র পাশ করিয়ে দেয়ার বিনিময়ে ঘুষ দাবিসহ নানা অনিয়মের ক্ষেত্রে সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ কামাল হোসেন, সহকারী অথরাইজ অফিসার মুহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন, তৎকালীন অথরাইজ অফিসার–১ মোহাম্মদ হাসান, ডিএ আলমগীর তালুকদার, সেকশন অফিসার সুবীর বড়ুয়ার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে আরো রেকর্ড পত্র চাওয়া হয়েছে জানিয়ে দুদক কর্মকর্তা বলেন, সংগৃহীত রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।












