দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ‘সরকারের ফাঁদ’ দেখতে পাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এবার জনগণ সরকারের কোনো ট্র্যাপে পা দেবে না, বিএনপি কোনো ট্র্যাপে পা দেবে না।
নাটোরের এক বিএনপি নেতাকে দেখতে গতকাল সোমবার সকালে রামপুরার ডেল্টা হেলথ কেয়ারে গিয়েছিলেন ফখরুল। সেখানে সাংবাদিকরা জানতে চান, সিটি ভোটে বিএনপি অংশ নেবে কিনা। উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের সরাসরি বক্তব্য– আমরা কোনো ট্র্যাপে যাচ্ছি না। তাদের ট্র্যাপকে উল্টে ফেলে দেব। খবর বিডিনিউজের।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অনড় অবস্থানের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আন্দোলন একটাই, এই আন্দোলন হচ্ছে এই সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন তো অনেক আগেই বাদ দিয়েছিৃ আপনারা জানেন। বিএনপির কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, সে ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, এটা তো উত্তর দিয়েছি।
দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হবে ২৫ মে। এরপর ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটিতে এবং তারপর ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে ভোট হবে। আর এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলে আসছেন, নির্বাচনে না এলে বিএনপি দেশের রাজনীতিতেই ‘গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে’।
অন্যদিকে মির্জা ফখরুল বলছেন, আজকে যদি একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে দেখবেন যে, আওয়ামী লীগ ত্রিশটা আসন খুঁজে পাবে না। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। সেই কারণে আজকে তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে মামলা–মোকাদ্দমা, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে পণ্ড করে দেওয়া– এই করেই তারা আবারো ক্ষমতায় ফিরে আসতে চায়।
ফখরুল বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তারা যদি না নিয়ে আসে, তারা যদি পদত্যাগ না করে, তাহলে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।