রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা পাঁচটি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ ইঞ্জিন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাসের পর গত ২৭ জুন চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) রাখা হয়। সেই সিজিপিওয়াই থেকে তিনটি নতুন ইঞ্জিনের ক্যাবল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার সিজিপিওয়াই থেকে ইঞ্জিনগুলো পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে তিনটির ক্যাবল চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।
রেলওয়ের সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইয়ার্ড। পুরো ইয়ার্ড জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্ক প্রহরা থাকে। যে কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারে না। এরকম একটি সংরক্ষিত এলাকা থেকে নতুন ইঞ্জিনের ক্যাবল চুরির বিষয়টি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)।
কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম স্টেশনের চিফ ইন্সপেক্টর (সিআই) রেজওয়ানুর রহমানকে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী তাপস কুমার দাস আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে দুটি লোকোমোটিভের (ইঞ্জিন) ক্যাবল (তামার তার) কেটে নিয়ে গেছে। এই ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনেকেই না জেনে বলছে যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে গেছে! আসলেই কোন যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়নি। ক্যাবল কেটে নিয়ে গেছে।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা আজাদীকে বলেন, ক্যাবলসহ যন্ত্রাংশ চুরির কারণে তিনটি ইঞ্জিন সিজিপিওয়াই থেকে সরানো যাচ্ছে না। ওইসব যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আনার পর এসব ইঞ্জিন সচল করা সম্ভব হবে।
ঐ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাঁচটি ইঞ্জিন ছাড়িয়ে আনার পর নিয়ম অনুযায়ী সিজিপি–ওয়াইতে রাখা হয়। সেখানে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তাকর্মীরা এসব ইঞ্জিন পাহারা দিচ্ছিলেন। ইঞ্জিনগুলো প্যাকেটজাত অবস্থায় আছে। এর মধ্যে তিনটির কিছু যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। যে কারণে সেগুলো পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম স্টেশনের চিফ ইন্সপেক্টর (সিআই) রেজওয়ানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি এবং আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র এখনও হাতে পাইনি। বিষয়টি আমি এখনো জানি না। তিনি বলেন, আমাদের গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপি–ওয়াই) এ দায়িত্বে আছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর মো. ইয়াছিন উল্লাহ। কিভাবে চুরি হয়েছে তিনি বলতে পারবেন। এই ব্যাপারে কথা বলতে ইয়াছিন উল্লাহকে মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমাদের