সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের পরীক্ষা পেছাল উত্তাল সাগরে

| সোমবার , ২৬ জুন, ২০২৩ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

বৈরি আবহাওয়া বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাগর থেকে জ্বালানি তেল খালাসের বহুল প্রতীক্ষিত ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ এর পরীক্ষামূলক শুরুর কার্যক্রমে। গতকাল রোববার সাগর উত্তাল থাকায় মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে স্থাপিত এ পাইপলাইনের মাধ্যমে বড় তেলবাহী ট্যাংকার থেকে তেল খালাসের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

তেল পরিশোধনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ (এসপিএম) এর মাধ্যমে গতকাল সৌদি আরব থেকে আসা বড় তেলবাহী ট্যাংকার থেকে জ্বালানি তেল পাইপলাইনের করে পরিশোধনাগারে নেওয়ার কথা ছিল। খবর বিডিনিউজের।

ইআরএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, সব প্রস্তুতি নেয়ার পরও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে জাহাজ থেকে এসপিএম’র মাধ্যমে তেল খালাস কার্যক্রম শুরু করা গেল না। তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে সাগর উত্তাল আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সাগর শান্ত হতে আরও দুই থেকে তিনদিন লাগতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আবহাওয়া ঠিক হলে সাগরে বড় ট্যাংকার থেকে পরীক্ষামূলক খালাস কার্যক্রম শুরু করা হবে।

মহেশখালী উপকূলে এসপিএমে পরীক্ষামূলক তেল সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা ছিল গতকাল রোববার। সব ঠিক থাকলে আগামী জুলাই বা অগাস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত এ প্রকল্প আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন ইআরএল এর কর্মকর্তারা।

পানামার পতাকাবাহী অয়েল ট্যাংকার ‘এমটি হোরা’ নামের একটি জাহাজ সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ে ভেড়ে গত শনিবার। এসব তেল পাইপলাইনে করে ইআরএলে নেওয়ার মাধ্যমে এসপিএমের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর কথা।

মহেশখালীর কালারমার ছড়া ইউনিয়নের উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ থেকে তেল খালাসের জন্য এসপিএম স্থাপন করা হচ্ছে। সেখানে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তেল সরবরাহ করা হবে। প্রথমে কালারমার ছড়ায় স্থাপিত ‘স্টেশন অ্যান্ড ট্যাংক ফার্রমের ট্যাংকে’ যাবে। পরে ৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনে তেল যাবে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূল হয়ে ইআরএলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাঁচা মরিচ ও টমেটো আমদানির অনুমতি
পরবর্তী নিবন্ধজাতিসংঘের দুই আন্ডার সেক্রেটারি গণভবনে, শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা