এএফসি অনূর্ধ্ব–১৭ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার পথটা মোটেও মসৃণ নয় বাংলাদেশের জন্য। বাছাইয়ের প্রথম ধাপে সেরা হতে পারলে মিলবে দ্বিতীয় ধাপের টিকেট। সে ধাপ পেরুতে পারলে সুযোগ মিলবে মূল পর্বে খেলার। আপাতত বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের ভাবনা প্রথম ধাপ পেরুনো নিয়েই। ‘ডি’ গ্রুপের খেলা শুরু হবে আগামী ২৬ এপ্রিল। এই গ্রুপে স্বাগতিক সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আছে বাংলাদেশ ও তুর্কমেনিস্তান। গ্রুপ সেরা হয়ে পরের ধাপে ওঠার লক্ষ্য গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
‘সাফ অনূর্ধ–১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েরা রাশিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলেছে। যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটা সিঙ্গাপুরে আমরা কাজে লাগাতে চাই। রাশিয়া, ভারত, নেপালের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মেয়েদের কিছু ভুলত্রুটি ছিল। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আগামী আসরে আমরা সেই ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নিয়ে ভালো কিছু করব।’ সবশেষ সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত ও রাশিয়ার বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। রাশিয়া হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ হয়েছিল রানার্সআপ। বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির বিশ্বাস অভিজ্ঞতায় কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। ‘কোয়ালিফাই করার লক্ষ্য নিয়েই সিঙ্গাপুর যাচ্ছি আমরা। সাফের সামপ্রতিক টুর্নামেন্টে আমরা দারুণ পারফরম্যান্স করেছি। সেখানে ইউরোপের দল ছিল। তাদের বিপক্ষেও আমরা দারুণ খেলেছি। দল অভিজ্ঞতার দিক থেকে পিছিয়ে নেই।’ ‘জয়নব ছাড়া দলের অন্য সকলেরই দেশের বাইরে প্রথম টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। এটা তাদের জন্য একটা বিরাট অভিজ্ঞতা হবে। বিদেশের মাটিতে প্রথম টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়া নিয়ে দলের সকলেই বেশ উৎসাহী। আশা করি দলের সকলেই ভালো কিছু উপহার দেবে। আশা করছি এই দল অন্য সব আসরের মতো ভালো ফুটবল খেলবে। জয় নিয়ে ফিরবে।’ অধিনায়ক রুমা আক্তারও জানালেন দেশের বাইরে খেলতে যাওয়া নিয়ে রোমাঞ্চিত তারা। ‘আমরা এই প্রথম দেশের বাইরে খেলতে যাচ্ছি। আমাদের খুব ভালো লাগছে। আমাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তো ওদের সাথে আমরা লড়াকু ফুটবল খেলব।’