সিএসইতে কমোডিটি ডেরিভেটিভস বিষয়ে সার্টিফিকেট ট্রেনিং কোর্স

| বৃহস্পতিবার , ২৬ জুন, ২০২৫ at ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ

চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল বুধবার থেকে চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে দুইদিনব্যাপী কমোডিটি ডেরিভেটিভস বিষয়ক একটি সার্টিফিকেট প্রশিক্ষন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এতে সিএসই এবং ডিএসইর ট্রেকএর প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন সিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসার মো. মোহাম্মেদ মাহাদি হাসান, জেনারেল ম্যানেজার এন্ড হেড অব বিজনেস প্রমোশন মোহাম্মদ মনিরুল হক, কমোডটি এঙচেঞ্জ প্রোজেক্ট কনভেনার মো.মরতুজা আলম এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিএসই বাংলাদেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কাজটি করছে। ইতিমধ্যে রেগুলেটরি এবং কারিগরি অংশের কাজ শেষের দিকে এবং একই সাথে মার্কেট ডেভেলপমেন্টের কাজও চলমান । এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ইতিমধ্যে সিএসই দুটি সার্টিফিকেট প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছে। আজকের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনারা যেমন ট্র্যাডিশনাল মার্কেট এবং কমোডিটি মার্কেট এর পার্থক্য বুঝতে পারবেন, তেমনি একই সাথে নতুন মার্কেটে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবেন। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে এই প্রশিক্ষন কার্যক্রমগুলিকে সংশ্লিষ্ট স্টেকদেরকে যুক্ত করে আরও প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করে তোলা। আপনারা যারা আজকের এই প্রশিক্ষন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন আমরা আশা করবো আপনারাই হবেন কমোডিটি এঙচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার পর অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম সারিতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দরভাবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো। আর এর মাধ্যমে আমরা একটি গতিশীল পুঁজিবাজারও গঠন করতে পারবো।

চিফ রেগুলেটরি অফিসার মো. মোহাম্মেদ মাহাদি হাসান, সিএফএ বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অনেক আগ থেকেই সুগঠিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত কমোডিটি ডেরিভেটিবস এক্সচেঞ্জ রয়েছে। তারপরও এঙচেঞ্জগুলো এবং প্রতিষ্ঠিত ব্রোকাররা নিয়মিত প্রশিক্ষনের আয়োজন করেন। এই প্রশিক্ষনগুলোর দুটি দিক আছে প্রথমত নতুন নতুন পরিবর্তনগুলো জানানো এবং দ্বিতীয়ত নতুন জেনারেশনকে প্রস্তুত করা। ইতিমধ্যে সিএসই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট রেগুলেশন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদন দিয়েছে।

এখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো মার্কেট এবং মার্কেট সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের উপযুক্তভাবে তৈরি করা অর্থাৎ যারা এক্সচেঞ্জের সাথে যুক্ত হবেন তাদেরকে সঠিকভাবে প্রস্তুতের জন্য বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান এবং ট্রেনিংএর ধারাবাহিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। মার্কেট প্রস্তুতির কাজটি এতই ব্যাপক যে, সিএসইর একার পক্ষে সম্ভব নয়। বিনিয়োগকারী পর্যন্ত পৌঁছাত গেলে আপনারাই হবেন মধ্যজন যারা প্রথম প্রশিক্ষণগ্রহণকারী হিসেবে পরবর্তী জনকে প্রশিক্ষণ দিবেন। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়াতে আপানাদের স্বাগতম এবং আমরা আশা করছি সবার সার্বিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় খুব অল্প সময়ে একটি সুগঠিত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের কাজটি দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করতে পারবো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈদ্যুতিক তার চুরি, ছাত্রাবাস ও শিক্ষক ভবনে পানি সরবরাহ বন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বকাপের আগে ২০টির বেশি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল