সিএমপি ও জেলা পুলিশের ৯ হাজার সদস্য

মোখা মোকাবেলায় প্রস্তুত

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৪ মে, ২০২৩ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

ক্রমশ ধেয়ে আসা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতজনিত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে নয় হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরীতে সাত হাজার এবং জেলায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিক নির্দেশনার ভিত্তিতে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম নগরী ও জেলা পুলিশ নিজ নিজ দফতরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশও মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে অনুরোধ করছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ : সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় জানান, নগরীর ১৬ থানাসহ সকল ইউনিটকে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানার নিয়মিত অফিসারফোর্সসহ সাত হাজার পুলিশ সদস্য প্রস্তুত আছে।

দামপাড়ায় সিএমপির সদর দফতরে গতকাল শনিবার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) মো. জাহাঙ্গীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এডিসি জাহাঙ্গীর আলম০১৩২০০৫২১২০ ছাড়াও ০১৬৭৬১২৩৪৫৬, ০১৩২০০৫৭৯৮৮, ৬৩০৩৫২, ৬৩০৩৭৫, ৬৩৯০২২ নম্বরে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত তথ্য দিতে নগরবাসীর কল গ্রহণ করবে এবং তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করবে। ইতোমধ্যে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, পারকি বিচ, মেরিন ড্রাইভ রোডসহ বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি বিশেষ টিম কাজ করে যাচ্ছে। এর সঙ্গে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ: চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য জরুরি সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এতে ফোকাল পয়েন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবীর আহম্মেদ। নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ০১৩২০১০৭৪০২, ০১৩২০১০৮৩৯৮, ০১৩২০১০৮৩৯৯ ও ০২৪১৩৫৫৫৪৯ নম্বরে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জেলার ১৭টি থানা ও রিজার্ভ ফোর্স মিলিয়ে দুই হাজার পুলিশ সদস্য প্রস্তুত আছে। সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, জোরারগঞ্জ থানা ও এর আওতাধীন বিভিন্ন ফাঁড়ি এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। জেলার ১৭ থানায় মোট ৯৪১টি সাইক্লোন শেল্টারে জনসাধারণকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি আছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উপদ্রুত এলাকায় চুরি, ডাকাতি, লুটপাট, ছিনতাই প্রতিরোধসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগুমাই বিলে মাঠের বাকি ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীর ৪০ সহস্রাধিক লোকের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান