সিএন্ডএ টেক্সটাইলকে ২ কোটি টাকা জরিমানা

বন্ড সুবিধায় আনা কাঁচামাল অন্যত্র অপসারণ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৬ মে, ২০২১ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকার সিএন্ডএ টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল অপসারণের দায়ে দুই কোটি টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম বন্ড কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালে ৪৫টি চালানে প্রায় ৫৭৭ টন কাঁচামাল নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। কাঁচামালের মধ্যে ছিল-এসিটিক এসিড, ওয়াশিং এন্ড ব্লিচিং, ওয়াশিং এন্ড ক্লিনিং এজেন্ট, ওয়াশিং এজেন্ট, ফিনিশিং এজেন্ট, এন্টিফোমিং এজেন্ট, গ্লোবার সল্ট এবং লবণ। বন্ড কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠান বন্ড রেজিস্টার এবং চট্টগ্রাম কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড ডাটাবেজে পাওয়া তথ্যমতে-সিএন্ডএ টেক্সটাইল বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (ইউটিলাইজেশন পারমিশন) ইউপি গ্রহণপূর্বক রপ্তানি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামালের বন্ডিং মেয়াদ বাড়ানোর বন্ড কাস্টমস কার্যালয়ে কোনো আবেদনও করেনি। তাই বুঝা যায়, আমদানিকৃত কাঁচামাল প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে অপসারণ করেছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কর্মকর্তারা জানান, বন্ড সুবিধায় কাঁচামাল অপসারণের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ বরাবর গত ২০ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। গত ২৮ এপ্রিল শুনানীর সময় নির্ধারণ করা হলেও সিএন্ডএ টেক্সটাইলের পক্ষে কেউ উপস্থিত হননি। কারণ দর্শানোর লিখিত জবাবও তারা দাখিল করেননি। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি লিখিত জবাব দাখিল না করায় এবং নির্ধারিত তারিখে শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খন্ডনে দলিলাদি নেই মর্মে প্রমাণিত হয়। অভিযোগ প্রমর্াণিত হওয়ায় কাস্টমস বন্ড আইন অনুযায়ী আমদানি চালানের বন্ডিং মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় এবং উপকরণ অবৈধভাবে অপসারণ করার দায়ে চলতি ১৭ মে পর্যন্ত অপসারিত পণ্যের সাথে জড়িত সুদসহ রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৬ হাজার ৪০ টাকা। একইসাথে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। জরিমানাসহ মোট ৩ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৪০ টাকার আদেশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম বন্ড কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার একেএম মাহাবুবুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, সিএন্ডএ টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে কাঁচামাল অপসারণের অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে শো-কজ করি। কিন্তু তারা লিখিত জবাবও দেয়নি এবং শুনানিতে আসেনি। তাই আইন অনুযায়ী আমরা জরিমানা করেছি। তবে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দেশের বাইরে চলে গেছেন বলেও জানতে পেরেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমধ্যরাতে হালদায় নমুনা ডিম
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে মৃত্যু ছাড়াল ৬শ নতুন শনাক্ত ৯৩