নগরীতে সিএনজি টেক্সি চুরি করে উল্টো টাকা দাবির সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল সোমবার ডবলমুরিং থানাধীন ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তার মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে একজন দুই মাস আগে জেল থেকে বেরিয়ে এরই মধ্যে ছয়টি সিএনজি টেক্সি চুরি করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন সময় সিএনজি টেক্সি চুরির পর মালিকের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা পেলে পরে মালিকের কাছে সিএনজি টেক্সি ফিরিয়ে দেয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও মাঈন উদ্দিন মনির (৪২)। গতবছরের ২ নভেম্বর আকবরশাহ থানাধীন ইস্পাহানী এলাকায় একটি সিএনজি টেক্সি চুরির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা (নং-১৩, তারিখ-১২/১১/২০২০) তদন্তে এই দু’জনের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে। ওই ঘটনায় গাড়ির মালিক ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে হাটহাজারী এলাকা থেকে টেঙিটি ফিরে পান। এই ঘটনার সাথে গ্রেপ্তার রফিকুল ও মনির জড়িত ছিল বলে আজাদীকে জানান অভিযান পরিচালনাকারী গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাজই হচ্ছে সিএনজি টেঙি চুরির পর মালিকের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে ২০/৫০ হাজার টাকা নিয়ে গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া। এরা নগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় এভাবে একাধিক সিএনজি টেঙি চুরির সাথে জড়িত।
গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, গত অক্টোবরে রফিকুল ইসলাম জেল থেকে বেরিয়ে আসে। আর এ দু’মাসের মধ্যে সে ৬টি সিএনজি চুরি করে। এসব ঘটনায় মাত্র একটি মামলা হয়েছে। বাকি চুরির ঘটনায় কোনো মামলা করেননি মালিকরা।
পরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, চুরি হওয়ার পর মালিকরা চক্রটির দাবিকৃত টাকার বিনিময়ে সিএনজি টেঙি ফিরে পেয়েছেন। সামান্য টাকার বিনিময়ে গাড়ি ফিরে পাওয়ায় মালিকরাও আর মামলা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এসব কারণে চুরির ঘটনাগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, রফিকুল ও মনিরের বিরুদ্ধে সদরঘাট, পাহাড়তলী, ডবলমুরিং ও সীতাকুণ্ড থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। রফিক সন্দীপ উপজেলার গাছুয়া এলাকার মৃত সাইদুল হকের ছেলে। মনির নোয়াখালী চরজব্বর থানার আবদুল্লাহ মাস্টারের ছেলে।