নগরীর পাঁচলাইশের বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকায় চিকিৎসককে অপহরণ করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় এক সিএনজি টেক্সি চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর একটি ধারায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মো. জামসেদ নামের ওই টেঙি চালক নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার গুল্লাখালী এলাকার মো. সাইদুল হক চৌধুরীর ছেলে।
গতকাল চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মো. জামসেদ কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এম এ নাসের চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক এ রায় দিয়েছেন। মোট দুটি ধারায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন এক চিকিৎসক। নগরীর জিইসি এলাকা থেকে টেক্সটাইল গেট যাওয়ার জন্য জামসেদের সিএনজি টেক্সিতে উঠেন তিনি। কিন্তু টেক্সিটি মুরাদপুর মোড় দিয়ে না নিয়ে বন গবেষণা এলাকার নির্জন জায়গায় নিয়ে যান জামসেদ। একপর্যায়ে টেক্সি দাড় করিয়ে চিকিৎসককে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে জামসেদকে গণপিটুনি দিয়ে চিকিৎসককে রক্ষা করে। এ ঘটনায় চিকিৎসক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৯ জুন মো. জামসেদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন বিচারক।