হেরিটেজ জোন হিসেবে সিআরবিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো জোনের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী। তিনি বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণকালে তিনি সংগঠনের নেতাদের এ তথ্য জানান।
পরিবেশ পরিচালক নাগরিক সমাজ নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন আইন ও সার্বিক বিবেচনায় সিআরবিতে গেজেট নির্ধারিত আট ধরনের কাজের বাইরে হাসপাতাল কেন কোনো স্থাপনাই হতে পারবে না। এখানে হতে পারে বাটারফ্লাই পার্ক, বার্ডস জোনসহ ইতিহাস, ঐতিহ্য ভিত্তিক মিউজিয়াম। হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউটের মতো স্থাপনা এখানে করা হলে আশপাশে আরও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এসব হলে আইনের ব্যত্যয়ের পাশাপাশি পরিবেশের উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে।
সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল জানান, পরিবেশ পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী আমাদের জানিয়েছেন সিআরবি নিয়ে তাদের পূর্ণাঙ্গ স্টাডি রিপোর্ট আছে। এতে পরিবেশ, আইনগত সামগ্রিক বিষয়গুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসবের আলোকে বলা যায় সিআরবিতে কোনো স্থাপনা করার সুযোগ নেই।
নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রামের পক্ষে স্মারকলিপি পরিবেশ পরিচালকের হাতে তুলে দেন অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কো-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইদরিস আলী, চবির লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক কবি হোসাইন কবির, নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রামের যুগ্ম সদস্য সচিব কবি কামরুল হাসান বাদল, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, রাশেদ হাসান, সদস্য প্রণব চৌধুরী, অ্যাড. রাশেদুল ইসলাম, অনির্বাণ দাশ প্রমুখ।