সাহিত্য চর্চা সৃজনশীলতা ও কল্পনাকে উৎসাহিত করে

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির প্রতিভা অন্বেষণে বক্তারা

| শনিবার , ১১ অক্টোবর, ২০২৫ at ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

শিল্পসাহিত্যসংস্কৃতি চর্চার মধ্যদিয়ে একজন শিক্ষার্থীর মানবীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও সামাজিক সংহতির পাশাপাশি অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মতো গুণাবলী অর্জন করে। যা সুস্থ সমাজ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার জন্য অপরিহার্য। ‘শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধকরণ ও শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণ’এর অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলার ঐতিহাবাহী আলোকিত বিদ্যাপীঠ কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে ব্যতিক্রমধর্মী সাহিত্য প্রতিযোগিতার আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

শিশুকিশোরদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশে এগিয়ে যাই, মেধা ও মননে সাহিত্যের বিকল্প নাই’ প্রতিপাদ্যে কিশলয় অডিটোরিয়ামে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলার একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্য সংগঠন কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একাডেমির সহ সভাপতি, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা অফিসার, ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, সাহিত্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নানা বয়সের মানুষের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন অপরাধমূল কাজ থেকে বিরত রাখে।

অনুষ্ঠানে একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির সম্পর্কে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহম্মদ নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাহিত্য চর্চা মানুষের কল্পনা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে বলে শিশুকিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে সাহিত্য ও সংস্কৃতিবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সাহিত্য একাডেমি। এতে করে শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে সাহিত্য মনস্ক করে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

একাডেমিই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা শিশুকিশোরদের এভাবে গড়ে তুলতে স্কুল পর্যায়ে গিয়ে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক ফাতেমা জান্নাতের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, পোকখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম শফি ও আজাদ মনসুর।

প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির মধ্যে ছিল স্বরচিতছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প লিখন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ ও নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত ছিল। এসময় বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক মীর মোহাম্মদ জুনাইদ, শিক্ষকশিক্ষিকাসহ তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে বই ও সনদ প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে শিশু ও শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভা
পরবর্তী নিবন্ধ৫ দফা গণদাবি আদায়ে সোচ্চার হোন