তার বয়স যখন ছিল ৪ বছর, তখনই সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই ২০১৮ সালের কথা। মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে টিউমারের জন্য কেমোথেরাপি নিতে এসেছিল জগনবীর। সেখানে গিয়ে জগনবীরকে কোলে তুলে নেন বলি ভাইজান। সে সময় খুদে ভক্তকে কথা দিয়ে এসেছিলেন, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হলে আবার তিনি দেখা করবেন। আর ভাইজানের সেই প্রতিশ্রুতির কারণই ছিল জগনবীরের জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার অনুপ্রেরণা। গত বছরই ক্যান্সারকে হারিয়ে দিয়েছে এই জগনবীর। ৯ বছর বয়সেই ৯ বার কেমোথেরাপি নিয়ে ক্যান্সারকে পরাজিত করেছে জগনবীর। আর সালমান খানও রেখেছেন তার কথা। গত ডিসেম্বরেই দেখা করে আসেন নিজের খুদে ভক্তের সঙ্গে। এক সাক্ষাৎকারে জগনবীরের মা সুখবীর কৌর জানান, মাত্র ৩ বছর বয়সে তার ছেলের চোখের দৃষ্টি হঠাৎই ঝাপসা হতে শুরু করেছিল। তারপর জানা যায়, ব্রেনে থাকা একটা ছোট্ট টিউমারের জন্য এমনটা হচ্ছে। এই অবস্থায় সেখানকার চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন তারা যেন দিল্লি বা মুম্বাইয়ে নিয়ে গিয়ে ছেলের চিকিৎসা করান। এরপর বাবা পুষ্পিন্দর ঠিক করেন মুম্বাই আসার। কিন্তু জগনবীর সবসময় ভাবত, সে হয়তো সালমান খানের সঙ্গে দেখা করতেই আসছে মুম্বাইয়ে। তবে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছে সেটা জানতো না জগনবীর। সুখবীর বলেন, ছেলের এত উৎসাহ দেখে আর সত্য কথাটা ফাঁস করনি ৩ বছর বয়সী জগনবীরের কাছে। এরপর সে হাসপাতালে ভর্তি হলে, একটি ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছিল, যেখানে সে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। আর সেই ভিডিও পৌঁছেও গিয়েছিল অভিনেতার কাছে। তখন সালমান টাটা মেমোরিয়ালে এসেই দেখা করেন জগনবীরের সঙ্গে। সে সময় জগনবীরের দৃষ্টিশক্তি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। সালমানের মুখ আর তার হাতের ব্রেসলেট ছুঁয়ে জগনবীর নিশ্চিত হয়েছিল তাকে দেখতে আসা মানুষটা সালমানই। সুখবীর আনন্দের সঙ্গে জানান, তার ছেলে এখন অনেক সুস্থ। ৯৯ শতাংশ দৃষ্টিশক্তিও ফিরে পেয়েছে। এখন সে স্কুলেও যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সালমান খানকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ‘টাইগার ৩’ সিনেমায়। বঙ অফিসে ৪৬৬ দশমিক ৬৩ কোটির আয় করে সিনেমাটি। এরপর করণ জোহরের ‘দ্য বুল’–এ দেখা যেতে পারে ভাইজানকে। এছাড়াও যশ রাজ ফিল্মসের ‘পাঠান ভার্সেস টাইগার’–এ শাহরুখের সঙ্গে দেখা যাবে তাকে।