ইসি নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য তিনটি নাম প্রস্তাব করেছে বিকল্প ধারা, এর মধ্যে লেখক-অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম রয়েছে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যবসায়ী রোকেয়া আফজাল রহমান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার নাম প্রস্তাব করেছে দলটি। এর আগে শীর্ষ দুই নেতাকে ছাড়াই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা সেরেছে গণফোরাম ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দল দুটি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাদাভাবে সংলাপে অংশ নেয়। গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন সংলাপে যাননি; ছিলেন না বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই আলোচনায় গতকাল প্রথমে বসে গণফোরাম, দলের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান। সংলাপে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিবেচনার জন্য এই নামগুলো প্রস্তাব করা হয় বলে বিকল্প ধারার মুখপাত্র মাহী বি চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠনের জন্য এর আগে জাতীয় পার্টি ও তরীকত ফেডারেশন রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করলেও তা প্রকাশ করেনি। খবর বিডিনিউজের।
সংলাপ শেষে বেরিয়ে বিকল্প ধারার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাহী তাদের প্রস্তাবিত নাম তিনটি প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যাদের নাম প্রস্তাব করেছি আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও তারা গ্রহণযোগ্য হবেন। দলের সভাপতি কামাল হোসেন কেন আসেননি; জানতে চাইলে মোকাব্বির খান সাংবাদিকদের বলেন, জানেন তো উনি অসুস্থ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই উনি যান না। কামাল হোসেনের সম্মতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে তারা যোগ দিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে এই সংসদ সদস্য বলেন, কামাল হোসেন স্যার কখনোই এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না। উনি বলেছেন, আপনারা গণফোরাম সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বর্ধিত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েই সংলাপে এসেছেন বলে জানান তিনি।
বিকল্পধারার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব আবদুল মান্নান। বি চৌধুরী না গেলেও তার ছেলে দলের মুখপাত্র মাহী বি চৌধুরীও প্রতিনিধি দলে ছিলেন। সাংবিধানিক সংস্থা ইসির সদস্য নিয়োগে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও কোনো আইন না হওয়ায় প্রতিবারই রাজনৈতিক অঙ্গনে মতভেদ তৈরি হয়। জটিলতা এড়াতে গত দুবার সার্চ কমিটির ব্যবস্থা হলেও বিতর্ক থামেনি।