তাদের কেউ রিকশা চালান, কেউ গাড়ির ভাড়ার ব্রোকার হিসেবে কাজ করেন, কেউ পিকআপ ড্রাইভার, কেউ কসাইয়ের কাজ করেন। সারাদিন যা উপার্জন করেন তা রাতেই উড়িয়ে দেন জুয়া খেলে। তাদের ফেরার অপেক্ষায় বসে থাকেন তাদের স্বজনরা। চুলা জ্বালাটাও নির্ভর করে তাদের বাড়ি ফেরার উপর। অথচ বাড়ি ফিরেন তারা নিঃস্ব হয়ে। গত বুধবার সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতয়ালী জোন) নোবেল চাকমার নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানাধীন সিআরবি ফ্রান্সিস রোড সংলগ্ন পাহাড়ের নিচে বাঁশের তৈরি বেড়ার ঘর থেকে জুয়া খেলা চলাকালে এ ধরনের ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসি নোবেল চাকমা জানান, জুয়া খেলাটা পরিচালনা করেন আবুল হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়ার আসর থেকে পালানোর চেষ্টাকালে তাকেসহ ১৬ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আসামিগণ টাকার বিনিময়ে বিনা অনুমতিতে অবৈধভাবে তাস দ্বারা জুয়া খেলে ১৮৬৭ সনের প্রকাশ্যে জুয়া ৪ ধারা অপরাধ সংঘটন করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।