ছোট ও বড় পর্দার গুণী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। কাজ আর পরিবার নিয়েই অধিক ব্যস্ত থাকেন শিল্পী। বিশেষ করে বাবা–মায়ের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্কের কথা কারো অজানা নয়। এবারই প্রথম বাবাকে ছাড়া দুর্গাপূজা পার করছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের গ্রামে দুর্গাপূজার আমেজ শুরু হতো এক মাস আগে থেকেই। সবচেয়ে বড় লোভ, আনন্দ আর উত্তেজনা কাজ করতো নতুন পোশাক পাবার আশায়।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, একমাত্র পূজাতেই আমাদের সৌভাগ্য হতো নতুন পোশাক পরার। ছিট কাপড় কিনে বাবা নিজে সঙ্গে করে শার্টের মাপ দেয়ার জন্য নিয়ে যেতো দর্জির কাছে। প্রতিদিন দর্জির কাছে গিয়ে বসে থাকতাম, কাপড় কাটা হলো কিনা, শেলাই হলো কতটুকু, বোতাম লাগানো শেষ হলো কিনা দেখবার জন্য। সেই দিনের কথা স্মরণ করে অভিনেতা বলেন, যে দিন শার্টটা হাতে পেতাম, সে যে কি আনন্দ! নতুন কাপড়ের আনন্দ, পূজার আনন্দ। এখন আমার ঘর ভর্তি কত কত নতুন পোশাক। পোশাকগুলো পরার সময়ও পাই না ঠিকমতো। কিন্তু সেই পোশাকে কেন জানি আগের নতুন গন্ধ পাই না, যে গন্ধ পেতাম বাবার কিনে দেয়া ছিট কাপড় থেকে বাজারের দর্জির বানানো শার্টে!