চাঁদপুরে মেঘনা নদীর হরিনা ঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় এম ভি আল–বাখেরা জাহাজের মাস্টারসহ ৭ জন শ্রমিকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত মধ্যরাত থেকে সারাদেশে নৌ যান চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে দেশব্যাপী পণ্য পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যাত্রীবাহী নৌযানকে কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে।
সাত শ্রমিকের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, হত্যাকারীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা, সকল নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এই কর্মসূচি আহ্বান করে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ঘোষিত আল্টিমেটাম শেষে ফেডারেশন গত মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এক যৌথ বিবৃতিতে গত মধ্যরাত থেকে মালবাহী, তেল–গ্যাসবাহী, বালুবাহীসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করতে সকল বেসিক ইউনিয়ন ও শাখাসমুহের নেতৃবৃন্দসহ সকল নৌযান শ্রমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান তিনি। তবে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আপাতত সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।