সারা দেশ ছিল সভা সমাবেশে উত্তাল

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ৬ মার্চ, ২০২২ at ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

১৯৭১ সালের এদিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সভা-সমাবেশ-মিছিলে উত্তাল ছিল। ষষ্ঠদিনের মতো হরতাল পালনকালে ঢাকার সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে আসে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার বাঙালি অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে। এদিন ছাত্রলীগ ও ডাকসু নেতারা এক বিবৃতিতে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দান থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাংলাদেশের সব বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করার দাবি জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন শেষে তারই নির্দেশে বেলা আড়াইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক এবং যেসব বেসরকারি অফিসে ইতোপূর্বে বেতন দেয়া হয়নি সেগুলো বেতন দেয়ার জন্য খোলা থাকে। বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের গেট ভেঙে ৩৪১ জন কয়েদি পালিয়ে যান। পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে ৭ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হন। পাক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান দুপুরে এক বেতার ভাষণে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্‌বান করেন। ভাষণে তিনি বলেন, যা-ই ঘটুক না কেন, যতদিন পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমার হুকুমে রয়েছে এবং আমি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধান রয়েছি, ততদিন আমি পূর্ণাঙ্গ ও নিরঙ্কুশভাবে পাকিস্তানের সংহতির নিশ্চয়তা বিধান করব। প্রেসিডেন্টের বেতার ভাষণের পরেই বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক শাখার ওয়ার্কিং কমিটির জরুরি বৈঠক হয়। কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে প্রেসিডেন্টের বেতার ভাষণের আলোকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ইয়াহিয়া খানের বেতার ভাষণের পরপরই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ মিছিল হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতিসংঘে ভোট না দেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ