ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে বলে মনে করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সাম্য ছাত্রদলের এফ রহমান হলের একটি সম্পাদকীয় পদে রয়েছে। কী কারণ ছিল? কী অন্যায় করেছিল সাম্য? পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তিনজন ভবঘুরেকে। আমার তো মনে হয় এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে। রাজনৈতিক কারণ না থাকলে– যার চেহারা সুদর্শন, নাম তার সাম্য– তাকে হত্যা করবে কে? ভবঘুরেরা কেন হত্যা করবে?
সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন রিজভী। সিরাজগঞ্জের ছেলে সাম্যর জন্য এ প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম। খবর বিডিনিউজের।
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সন্তান রিজভী বলেন, আমরা দেখেছি, ফ্যাসিবাদীর আমলে পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়। আজকে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বললে পরে তার জীবন চলে যায়। অর্থাৎ যারা দেশের পক্ষে, যারা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, যারা এই দেশের স্বাধীনতার পক্ষে, যারা জাতীয় সংগীতের পক্ষে, যারা জাতীয় পতাকার পক্ষে– তাদের জীবন চলে যায়। আমি এজন্য বলেছি, নিশ্চয় এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, এখনো কেন ক্যাম্পাসে লাশ পড়ছে, এখনো কেন ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরছে, এখনো কেন রক্তের আলপনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে? এখন তো আওয়ামী দোসররা নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদেরকে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন– তারা সমর্থন করেছে। এখন কেন লাশ পড়বে?
মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খুন হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন।