সামাজিক সমস্যা তুলে ধরার ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানই মুখ্য ভূমিকা পালন করছে

প্রিমিয়ার ভার্সিটিতে সেমিনারে উপাচার্য

| শুক্রবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্যোসিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেলের (আইকিউএসি) সহযোগিতায় ‘টেকসই উন্নয়নে সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রধান দুটি ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে মানুষের গড় আয়ু ছিল ২৮ বছর। বর্তমানে তা বেড়ে ৭২এ উন্নীত হয়েছে। এর পেছনে যেমন ভূমিকা রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ আবিষ্কারের, তেমনি রয়েছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির। এই সচেতনতা বৃদ্ধির পেছনে রাষ্ট্রের সমাজসম্পর্কিত ভূমিকা রয়েছে। কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইফতেখার মনির। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিভাগের শিক্ষক ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, টেকসই উন্নয়ন মানুষের জন্য, মানুষের ভবিষ্যত নিরাপদ করার জন্য। এজন্য বর্তমানটাও নিরাপদ করতে হবে। তিনি মানুষের ভবিষ্যত নিরাপত্তার জন্য অপচয় রোধ করাটাও টেকসই উন্নয়নের অংশ বলে উল্লেখ করেন।
বিভাগের শিক্ষক তানিয়া মাহমুদা তিন্নির সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ ইফতেখার মনির বলেন, একসময় আমাদের দেশের গ্রামগুলোতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণে সমাজের ও প্রকৃতির নানা ক্ষতি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন হলো পরিবেশবান্ধব ও সামগ্রিক উন্নয়ন। মূল প্রবন্ধে ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী সমাজবিজ্ঞান ও টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠান কাল
পরবর্তী নিবন্ধঢাকায় গিয়ে নিখোঁজ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী