ঢাকার সাভারে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এক তরুণী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণ পাড়া মহল্লার এ ঘটনায় গত রোববার তরুণীর বাবা মামলা করেছেন বলে সাভার থানার পরিদর্শক আল-আমিন জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে ওই তরুণী কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরেন। রাতের খাবার খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি একা একটি কক্ষে ছিলেন। রোববার ভোরের দিকে এক ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে তরুণী চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তার বাবা।
পরিদর্শক আল-আমিন বলেন, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে আসামি করে তরুণীর বাবা তাদের থানায় মামলা করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রংপুরে স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার আসামি রংপুর সিটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এএসআই রায়হানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রংপুর সিটি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় গতকাল সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রোববার সকালে শহরের বাহার কাছনা এলাকার এক স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে হারাগাছ থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান। পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীকে দুইজন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।
নবম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে রোববার সকালে তাদের মেয়েকে ক্যাদারের পুল এলাকার এক বাসায় ডেকে নেন রায়হান। সেখানে রায়হান ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর আরও কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে বলে পরিবারের অভিযোগ।