একটা সময় আরিয়ান নামে ছেলেটির সাথে মেয়েটির প্রেম ছিল। ছেলেটির নানা দোষ-ত্রুটি থাকার পরও ভালোবেসেছিল মেয়েটি। তার বিশ্বাস ছিল, ভালোবাসা দিয়ে তাকে শুধরে নিতে পারবে। হয়নি তা। শেষে বাধ্য হয়ে হাল ছেড়ে দেয় এবং সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ছেলেটির মনে কখনোই ভালোবাসা ছিল না। সে অন্য কিছু চেয়েছিল। সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় যখন তার পাওয়ার পথটা বন্ধ হয়ে যায়, সে তখন বিকল্প পথ অবলম্বন করে। নিজে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত জানিয়ে মেয়েটিকে ফোন দেয়। জানায় বন্ধু মেহেদীর বাসায় আছে।
সম্পর্ক ছিন্ন করলেও একসময়ের ভালোবাসার মানুষটি আহত জেনে ছুটে যায় মেয়েটি। আর জীবনের কঠিন ভুলটি করে সেখানেই। তাকে ধর্ষণ করে ছেলেটি ও তার বন্ধু। পায়ে ধরে কাকুতি-মিনতি জানিয়েও ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। বরং কান্নার আওয়াজ যাতে বাইরে না যায় সেজন্য উ”চ শব্দে গান চালিয়ে দেয় তারা। বর্তমানে মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। পাঁচদিন আগে নগরীর আকবর শাহ থানার পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকার একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখনও অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
অভিযুক্ত দুই যুবক হলো নগরীর আকবর শাহ থানার জানারখিল আরিফ চৌধুরী বাড়ির ভাড়াটিয়া মমতাজ চৌধুরীর ছেলে রাকিবুল হাসান আরিয়ান (২০) এবং পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনির ঈদগাঁও মাঠের পূর্বপাশে ই/পি লেইনে আব্দুল বাতেন মেম্বারের ভবনের পঞ্চম তলার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম জাহেদের ছেলে মেহেদী হাসান আশিক রাব্বানী বাবু (২৩)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল হক বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেছি। দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১১ ডিসেম্বর বিকেলে বই কেনার কথা বলে মেয়েটি বাসা থেকে বের হয়। রাতে ভীষণ অসুস’ ও বিধ্বস্ত অবস’ায় বাসায় ফিরে কান্না করতে থাকে। পরে পরিবারকে ঘটনা খুলে বলে। আক্রান্ত মেয়েটি এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।