‘পরীর পাহাড় নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রস্তাবনা অনুমোদন ’ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইনজীবী সমিতির নেতারা। প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হয়নি উল্লেখ করে এটিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সারাদিন সমিতি অফিসে এসব বিষয়ে আলোচনা চলছিল। সমিতির ৭ সদস্য বিশিষ্ট বিল্ডিং কমিটি একটি মিটিং করেছে। যেখানে সমিতি বরাবর ফৌজদারি, মানহানি মামলার পাশাপাশি বিষয়টি মন্ত্রীদের জানানোসহ বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়। এটি সহ সাবেক ও বর্তমান নেতাদের নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় সমিতি অফিসে জরুরি সভা করবেন কার্যকরী কমিটি। এ সভা থেকে পরবর্তী করণীয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি ১২৫ বছরের একটি পেশাজীবী সংগঠন। দেশের অনেক প্রতিথযশা আইনজীবী এ সমিতির সদস্য ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে সমিতির সদস্যদের অবদান দেশব্যাপী স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে এ সমিতির আত্মার বন্ধন। ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুলির মুখে মানবঢাল বানিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর জীবনরক্ষায় এগিয়ে এসেছিলেন এই সমিতির সদস্যরা। ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের মান, মর্যাদা, সম্মান ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস জেলা প্রশাসন চালিয়ে যাচ্ছে, যা সত্যিই দুঃখজনক এবং উদ্দেশ্যমূলক। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আইনজীবী বান্ধব। সত্যতা যাচাই ছাড়া এ রকম বিষয়ে তিনি সায় দেবেন বলে সমিতি বিশ্বাস করে না।
সমিতির সূত্রে জানা যায়, সমিতির নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ১৯৭৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর ১৪৮৮৮ নং লিজ দলিল মূলে পরীর পাহাড়ের সরকারি খাস জমি চৌহদ্দি উল্লেখপূর্বক সরকার কর্তৃক চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি বরাবরে হস্তান্তর করা হয়। যা সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত নয়। সমিতির ভবনগুলো সিডিএ কর্তৃক যথাযথভাবে অনুমোদিত। যা সিডিএ কর্তৃক জেলা প্রশাসনকে পত্র মারফত ইতিপূর্বে অবহিত করা হয়েছে। সমিতির ভবনসমূহ নির্মাণের সময় কোন পাহাড় টিলা কাটা হয়নি। প্রস্তাবিত ‘আইনজীবী একুশে ভবন’ যে স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে তা সিডিএ থেকে অনুমোদিত। অপর ভবন নির্মাণে সিডিএ’র অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। সমিতির ভবনসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুদানে এবং সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়। পরীর পাহাড়ের চতুর্পাশে সমিতির কোন অবৈধ স্থাপনা নেই। দোকানপাট, খাবার হোটেল, মুদি দোকান, রাস্তার হকার, বস্তি ইত্যাদি স্থাপনাগুলোর অধিকাংশই জেলা প্রশাসন কর্তৃক লিজ প্রদানকৃত ও কিছু অংশ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাড়ায় লাগিয়ত করেন।